বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গত বৃহস্পতিবারের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। সভায় সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে এই সভা হলেও এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বাচিপের সভাপতিকে ডাকা হয়নি। সভায় কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে স্বাচিপের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স অনুষদের ডিন ইকবাল আর্সলান গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে সভায় ডাকা হয়নি, কী আলোচনা হয়েছে আমি জানি না।’ মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ জানান, তিনি সভার কথা জানতেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে উপাচার্য কামরুল হাসান খান, বিএমএর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপের মহাসচিব মো. আব্দুল আজিজ, সহ-উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর হাবিবুর রহমান প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রথম আলোকে বলেন, সভায় বলা হয়, নার্স নিয়োগ এবং উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রক্টরের মধ্যকার বিবাদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বন্ধ না করলে বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে।
বিএমএর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সকলকে ধৈর্য ধরতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছি।’
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সহ-উপাচার্যকে ১৯ জানুয়ারির সভায় উপাচার্য হেনস্তা করেছেন বলে যে খবর বেরিয়েছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই খবর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মর্যাদাহানিকর।
এদিকে সহ-উপাচার্য এ এস এম জাকারিয়া গতকালও মুঠোফোনে প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, ১৯ জানুয়ারির সভার একপর্যায়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার পথে উপাচার্য তাঁকে হেনস্তা করেন।