চেক প্রতারণা মামলায় জামিন পেলেন সাংসদ হারুন

১ কোটি টাকার চেক প্রতারণার মামলায় ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। 


আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মাহমুদুল হাসানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ বজলুল হক হারুন জামিন আবেদন করেন। মহানগর হাকিম পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, অপরাধটি জামিনযোগ্য ধারার। আসামি জামিনে গেলে পলাতক হবেন না। জামিনের শর্ত ভঙ্গ করবেন না। নিয়মিত আদালতে হাজির থাকবেন।
আদালত জামিন মঞ্জুরের আদেশে বলেছেন, জামিনযোগ্য ধারার অপরাধ বিবেচনায় আসামিকে জামিন দেওয়া হলো।

এ বছরের ২১ আগস্ট খলিলুর রহমান নামের একজন ব্যবসায়ী বজলুল হক হারুনকে আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নালিশি মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

নালিশি মামলার বাদী আরজিতে অভিযোগ করেছেন, ব্যবসার প্রয়োজনে বিবাদী বিভিন্ন সময় বাদীর কাছ থেকে নগদ টাকা ঋণ নিয়েছেন। এই টাকা পরিশোধের জন্য বিবাদী গত বছরের ২৯ নভেম্বর এক কোটি টাকা সমমূল্যের একটি চেক বাদীকে দেন। পরে চলতি বছরের ২১ জুন চেকটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হিসাব বন্ধ মর্মে (ডিজঅনার) চেক প্রত্যাখ্যান করে ফেরত দেওয়া হয়। পরে আসামিকে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি। ২৬ জুন আসামির নামে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। আসামি তা গ্রহণ না করে ফেরত দেন। আরজিতে আর বলা হয়েছে, আসামি বাদীর টাকা আত্মসাৎ করার জন্য ব্যাংক হিসাবে টাকা না রেখে চেক দেন এবং ওই হিসাব বন্ধ রেখেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আরও পড়ুন: