ছয় দিনে ইউএই গেলেন ৩২৪৮ জন

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ফাইল ছবি

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত বুধবার থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৩ হাজার ২৪৯ জন যাত্রীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল একজনের পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তাঁকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকি সবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গেছেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।
মন্ত্রিসভার নির্দেশের ২৪ দিন পর বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়।

গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান বলেন, প্রতিদিনই সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী ফ্লাইট আছে। দেশটিতে যেতে ৪৮ ঘণ্টা আগে যাত্রীদের একবার করোনা পরীক্ষা করাতে হয় এবং বিমানবন্দরে এসে যাত্রার ৬ ঘণ্টা আগে আরেকবার পরীক্ষা করাতে হয়। তবে অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে দেরি করে আসছেন। এতে সময়মতো পরীক্ষা করাতে বেগ পেতে হচ্ছে। ফ্লাইট ধরতেও যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। যাত্রার ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা আগে যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরামর্শ দেন তিনি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানবন্দরে ৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১২টি যন্ত্রের মাধ্যমে করোনার পিসিআর পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে ১ হাজার ৬০০ টাকা খরচ পড়ছে। তবে প্রবাসী কর্মীদের জন্য এ খরচ নেওয়া হচ্ছে না।
গত আগস্টে ইউএই দেশটিতে যেতে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার শর্ত আরোপ করে। কিন্তু বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কোনোটিতেই এ ব্যবস্থা ছিল না। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীসহ অন্যরা সে দেশে যেতে পারেননি।

গত ৬ সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিসভা শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা শনাক্তে আরটি পিসিআর যন্ত্র বসানোর নির্দেশ দেয়। ১৫ সেপ্টেম্বর ৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিমানবন্দরের আরটি পিসিআর যন্ত্র বসানোর জন্য নির্বাচিত করে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

প্রথমে সিদ্ধান্ত হয় বিমানবন্দরের বহুতল পার্কিং ভবনের ছাদে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এতে আপত্তি জানায় কাজ পাওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। পরে বিমানবন্দরের ভেতরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে তিন দফায় করোনা পরীক্ষা চালুর তারিখ ঘোষণা করা হলেও ব্যর্থ হয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

২৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পুরোদমে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়।