ছায়ানটের আয়োজন

১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণের আয়োজন উপলক্ষে ছায়ানটের সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) লাইসা আহমদ, সন্‌জীদা খাতুন, সারওয়ার আলী ও খায়রুল আনাম।  ছবি: সংগৃহীত
১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণের আয়োজন উপলক্ষে ছায়ানটের সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) লাইসা আহমদ, সন্‌জীদা খাতুন, সারওয়ার আলী ও খায়রুল আনাম। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবারের মতো এবারও রমনা বটমূলে আয়োজিত হচ্ছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ৫১তম আয়োজনটি শুরু হবে ভোর সোয়া ছয়টায়। বাঁশিতে ভোরের রাগালাপ দিয়ে সূচনা হবে। দেড় শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে দুই ঘণ্টার কিছু বেশি ব্যাপ্তিকালের অনুষ্ঠান শেষ হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। ১৬টি একক গান, ১২টি সম্মেলক গান, ২টি আবৃত্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান। শেষ হবে ছায়ানট-সভাপতি সন্‌জীদা খাতুনের শুভেচ্ছা-কথন দিয়ে। ১৩ এপ্রিল বেলা তিনটায় বটমূলে থাকবে মঞ্চ মহড়া।

১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নেওয়ার আয়োজন উপলক্ষে ছায়ানটের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শুরু হয় গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায়। স্বাগত ভাষণ দেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা। এরপর নানা প্রশ্নের উত্তর দেন ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন, নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী এবং সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল।

ছায়ানটের যাত্রা শুরু হয়েছিল পাকিস্তানি আমলের বৈরী পরিবেশে। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশত–বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে ছায়ানটের যে যাত্রার সূচনা, তা মূলত বাঙালির আপন সত্তাকে জাগিয়ে তুলবার, আপন সংস্কৃতিতে বাঁচবার অধিকার ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করবার জন্য। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ ঘটাবার জন্য ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে শুরু হয় বাংলা বছরকে আবাহনের আয়োজন। সেই থেকে পাঁচ দশক ধরে বাংলা বছরের প্রথম লগ্ন পয়লা বৈশাখের প্রত্যুষে এই সংগঠন আপন সংস্কৃতির অনুষ্ঠান করে আসছে। নতুন বাংলা বছরে এবারের বিষয় ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’।

ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। সরাসরি সম্প্রচারে আগ্রহী বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোকে বিটিভি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল <http://bit.ly/chyntbd>তে। ইউটিউব চ্যানেলে LIVE: CHHAYANAUT, BORSHOBORON 1425 ছায়ানট, বর্ষবরণ ১৪২৫ সার্চ বা অনুসন্ধান করেও সরাসরি সম্প্রচার দেখা যাবে।