ছোট-বড় সবার প্রিয় ছিলেন মামুন

৩ সেপ্টেম্বর অকাল মৃত্যু হয় মামুনুর রশিদের। ছবি: সংগৃহীত
৩ সেপ্টেম্বর অকাল মৃত্যু হয় মামুনুর রশিদের। ছবি: সংগৃহীত

মামুনুর রশিদ সব সময় হাসিমুখে থাকতেন; নিজে হাসতেন, সবাইকে হাসাতেন। বন্ধুদের সঙ্গে সব সময় তাঁর খুনসুটি লেগেই থাকত, কিন্তু কারও সঙ্গে কখনো ঝগড়া হয়নি। বিভাগ ও পেশাগত কাজের গণ্ডিতে বড় ভাইদের কাছে তিনি ছিলেন প্রিয়পাত্র, সময়ে-অসময়ে তাঁদের বিরক্ত করতে তাঁর জুড়ি ছিল না। ছোট ভাইয়ের অধিকার নিয়ে মামুন যখন তাঁদের কাছে যেতেন, কেউ বিরক্ত হতেন না। ছোট-বড় সকলের প্রিয় ছিলেন সরল মনের মামুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং একুশে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মামুনুর রশিদ স্মরণে এক শোকসভায় তাঁর সহপাঠী ও শুভানুধ্যায়ীরা এভাবেই তাঁকে স্মরণ করেন। তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আজ শনিবার বিকেলে এ শোক সভার আয়োজন করা হয়।

শোকসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে তাঁর সহপাঠী, বিভাগের জ্যেষ্ঠ ও অনুজ শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বিভাগের বন্ধুরা তাঁর বিভিন্ন স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগের নেতা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারাও তাঁকে স্মরণ করেন। তাঁরা বলেন, মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মামুনের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর অনুপস্থিতি সবাই অনুভব করবে।

অনুষ্ঠানে সহপাঠীরা মামুনের পক্ষ থেকে তাঁর কোনো ভুলের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। শুভানুধ্যায়ীরা মামুনের স্মৃতি ধরে রাখতে বৃত্তি দেওয়া, ফাউন্ডেশন গঠন অথবা কোনো স্মৃতি সংসদ গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।

৩ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় মামুনুর রশিদকে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন। পরের দিন নড়াইলে গ্রামের বাড়িতে তাঁকে দাফন করা হয়। মামুনুর রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৩-০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাংবাদিকতায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন।