জঙ্গিনেতা রাহমানীসহ ১০ জনের বিচার শুরু

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসীম উদ্দীন রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার বিচারকাজ অবশেষে গতকাল রোববার শুরু হয়েছে। সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর গতকাল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হলো।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া আদালত এ আইনে করা মামলার অভিযোগ আমলে নিতে পারেন না। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় রাহমানীদের বিরুদ্ধে করা এই মামলায় দুই বছর আগে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মামলাটির বিচারের জন্য পাঠানো হয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে। তা আমলে নিতে অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয় ওই বছরের ২৩ নভেম্বর। এরপর আরও দুই দফা চিঠি গেছে, যার সর্বশেষটি পাঠানো হয় এ বছরের ২৮ মার্চ। অনুমোদন-প্রক্রিয়ায় প্রায় দুই বছর মামলাটি ঝুলে ছিল। গত ২২ জুলাই এ বিষয়ে প্রথম আলোতে ‘তিন জঙ্গি নেতার বিচারের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরে ২৬ জুলাই অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়।
রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করে পুলিশ। অন্য আসামিরা হলেন সাইফুল ইসলাম, আবু হানিফ, জাহিদুর রহমান, কাজী রেজোয়ান, কাজী নাইমুল হাসান, জুন্নুন শিকদার, পিয়াস, আমিনুল ইসলাম ও আলী আজাদ।
গতকাল মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। আদালত ৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। মামলাটির বিচার নিষ্পত্তির জন্য অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৪-এ পাঠানো হয়েছে। কারাগারে আটক রাহমানী, হানিফ ও জাহিদুরকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। মামলার ছয়জন আসামি পলাতক। একজন জামিনে আছেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি কে এম সাজ্জাদুল হক বলেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হলো। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেওয়ার পর ২৭ জুলাই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গতকাল অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনায় আটক হন রাহমানী। ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়।