জঙ্গিবাদ নির্মূলে কৌশলপত্র প্রণয়ন করার আহ্বান

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে জঙ্গিবাদ সাময়িকভাবে দমন করা যাবে, কিন্তু নির্মূল করা যাবে না। এ জন্য কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন করতে হবে।৷

আজ শনিবার রাজধানীর ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বি-মৌলবাদীকরণে ব্যবস্থাপত্র’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

মূল বক্তব্যে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, তাঁরা জঙ্গিবাদ দমনের মতো জঙ্গিবাদ নির্মূলের ক্ষেত্রে সফলতা দেখতে চান। তবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে কিন্তু নির্মূল করতে হলে কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অবিলম্বে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার শুরু করারও দাবি জানান।

ইতিহাসবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে লড়াই তার চেয়েও কঠিন হবে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া। এখানে জয়ী হওয়ার আশা কম। সবাই যে ধর্মীয় কারণে মৌলবাদী বা জঙ্গিবাদী আদর্শে যাচ্ছে তা নয়, অনেকে না বুঝেও যাচ্ছে, অনেকে আবার অন্যের দেখাদেখি যাচ্ছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক এলাহী চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদের যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার শিগগির কোনো সমাধান নেই। এটি অনেক দিন থাকবে। এ কারণে কৌশলপত্র প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন জরুরি।

আরেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রশীদ বলেন, ইসলাম ধর্মকে সহিংস ইসলামে পরিণত করার মূল জায়গা হলো রাজনীতি। আজকে জঙ্গিবাদের যে উত্থান তার দায়ভার পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এড়াতে পারে না। পশ্চিমারা জঙ্গিবাদ দমনে যে ‘প্রেসক্রিপশন’ দেয়, দেখতে হবে এ দেশের ক্ষেত্রে সেগুলো কতটুকু উপযোগী বা গ্রহণযোগ্য।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে নুজহাত চৌধুরী, সাংবাদিক ফারজানা রূপা প্রমুখ বক্তব্য দেন।