জামিন পেলেন বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজনস পার্থ

পার্থ গোপাল বণিক
ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিক জামিন পেয়েছেন।

ভার্চ্যুয়াল শুনানি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫–এর বিচারক ইকবাল হোসেন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে তিনি ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদনের আপত্তি জানিয়ে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন। আদালত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি নিয়ে পার্থ গোপাল বণিকের জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদক ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুদকের এই মামলায় পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন আদালতকে বলেছিলেন, ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিক চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা অর্জন করেন। সেই টাকা পার্থ গোপাল বণিক তাঁর নিজ বাসার ক্যাবিনেটে লুকিয়ে রাখেন। অনুসন্ধানকালে অভিযান পরিচালনা করে তাঁর বাসা থেকে ওই টাকা জব্দ করা হয়।

আরও পড়ুন

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ জুলাই মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৩ আগস্ট পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

আরও পড়ুন

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি পার্থ গোপাল বণিক গত বছরের ২৮ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে অনুসন্ধান টিমের কাছে বক্তব্য দেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পার্থ গোপাল বণিক জানান, তাঁর বাসায় ৩০ লাখ টাকা নগদ আছে। এই টাকার বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁর বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

পার্থ গোপাল বণিক ১৯৯৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আর ২০০২ সালে তিনি জেল সুপার পদে চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর তিনি কারা উপমহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান।