স্থিতাবস্থা কঠোরভাবে মানতে দুই পক্ষকে নির্দেশ

জায়েদ খান ও নিপুণ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থিতাবস্থা দুই পক্ষকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদনটি ৪ সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখা হয়েছে (স্ট্যান্ড ওভার)। আদালত বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে কেউ চাইলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে পারবেন।

আদেশের পর জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘চেম্বার জজ যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। স্থিতাবস্থার আগে জায়েদ অফিসে বসেছিলেন। কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থিতাবস্থা কঠোরভাবে ফলো করতে বলা হয়েছে। সুতরাং জায়েদ এই দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।’

তবে নিপুণের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘নিপুণ চেয়ারে (দায়িত্বে) আছেন, থাকবেন।’

আদালতে জায়েদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন নাহিদ সুলতানা ও মজিবুল হক ভূঁইয়া। নিপুণের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতের আদেশ অনুসরণ না করার অভিযোগে ৮ মার্চ নিপুণসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ।

আবেদনটি সেদিন চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৩ মার্চ শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আজ আপিল বিভাগে ওঠে।

জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে ২ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। ফলে জায়েদের প্রার্থিতা বৈধতা পায়।

হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে পরদিন নিপুণ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ৬ মার্চ চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিতের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়।

তবে ৬ মার্চের আদেশ না মানায় নিপুণ ও আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।