টোল আদায়ের প্রতিবাদে অবরোধ

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতুর টোল আদায়ের প্রতিবাদে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। এতে সড়কের উভয় পাশে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, প্রশাসন, প্রত্যক্ষদর্শী এবং কয়েকজন এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে সওজ সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতুর টোল আদায় করে আসছে।
গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকজন দিয়ে সেতুর টোল আদায় শুরু করে। সওজ চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এক বছর টোল আদায়ের জন্য ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার চুক্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়। এই সেতু দিয়ে কুমারখালী থেকে প্রতিদিন সকালে কয়েক হাজার সাইকেল আরোহী কুষ্টিয়া শহরে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন যানবাহনসহ সাইকেল আরোহীদের কাছ থেকেও টোল আদায় শুরু করে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কুষ্টিয়াগামী কয়েক হাজার সাইকেল আরোহী ও অটোরিকশাচালক এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে টোল প্রত্যাহারে সেতু এলাকায় জড়ো হয়ে অবরোধ করেন। এতে উভয় পাশে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকা পড়ে। পরে কুমারখালী থানা-পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিত শান্ত করে।
চালকদের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং ট্রাকের চালকদের মারধর করতে উদ্যত হয়। টোলের টাকাও বেশি নেয়।
একজন সাইকেল আরোহী বলেন, আগে সাইকেলের জন্য টোল নেওয়া হতো না। নতুন ঠিকাদার সাইকেলের টোল নেওয়া শুরু করেছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক হালিমুজ্জামান বলেন, দরপত্রে উল্লিখিত নিয়ম অনুয়ায়ী সাইকেলসহ যানবাহনের নির্ধারিত টোল আদায় করা হচ্ছে। এর বাইরে কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না। সমস্যা শুরু হয়েছিল সওজ থেকে। কেননা সওজ গত ১১ জানুয়ারি টোলের যে তালিকা টাঙিয়েছে, তাতে সাইকেলের জন্য নির্ধারিত পাঁচ টাকা করে আদায়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা সে সময় টাকা নিত না। চালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ তিনিও পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি তাঁর লোকজনকে সতর্ক করবেন।