ডিএসএফের অর্থ পাচ্ছেন না প্রসূতিরা
নওগাঁর আত্রাইয়ে মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিমের (ডিএসএফ) টাকা পাচ্ছেন না প্রায় দেড় হাজার প্রসূতি মা। এক বছরের অধিক সময় ধরে ডিএসএফের এ টাকা না আসায় এসব প্রসূতি মা কষ্টের মধ্যে আছেন। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাতৃ স্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম প্রকল্প চালু করা হয়। নারীদের মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবা, সঠিক সময়ে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ ও নবজাতকের পরিচর্যা এ প্রকল্পের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে একজন গর্ভবতী মাকে মাতৃত্বকালীন সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাতায়াত বাবদ ৫০০ টাকা এবং পুষ্টিকর খাবারের জন্য ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিনা মূল্যে প্রসবসহ প্রসূতির সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এ প্রকল্প চালুর পর থেকে এলাকার হাজার হাজার গরিব ও দুস্থ মা উপকৃত হন। কিন্তু গত এক বছরের অধিক সময় প্রকল্পের বরাদ্দ না আসায় দেড় হাজারের বেশি মা টাকাটা পাচ্ছেন না।
চার-পাঁচজন গর্ভবতী মা বলেন, তাঁরা হাসপাতালে এসে টাকার বিষয়ে খোঁজখবর নিলে তাঁদের জানানো হয় টাকা আসেনি। এসব দুস্থ নারী জানান, প্রায়ই তাঁরা টাকার জন্য হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ডিএসএফের উপজেলা কোয়ালিটি ম্যানেজার শামসাজ্জাহান বলেন, মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে এ প্রকল্পের টাকা উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। টাকা পাওয়া মাত্র সব মাকে দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা কুমার সরকার বলেন, ডিএসএফের টাকা বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই যথাযথভাবে এ টাকা প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
নওগাঁর সিভিল সার্জন মোজাহার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে শুধু আত্রাইয়ে এ প্রকল্প চালু রয়েছে। টাকা না পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে একাধিকবার লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।