ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড বেহাল

আট কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ছয় কিলোমিটার অংশ বেহাল হয়ে পড়েছে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কার না করায় এই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) এক প্রতিবেদনেও চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
গত ১ মার্চ সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা সড়ক সার্কেল) মো. সবুজ উদ্দিন খানের সই করা ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল থেকে ৫ সেপ্টেম্বর আট কিলোমিটার দীর্ঘ এই আঞ্চলিক সড়কটির ডাবল বিটুমিন সারফেসিং পদ্ধতিতে আস্তরণ কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু কাজটি নিম্নমানের হওয়ায় ঠিকাদারের কাজের দায়বদ্ধতার মেয়াদ এক বছরের মধ্যেই সড়কটির ছয় কিলোমিটার অংশে গর্ত ও সরু ফাটলের সৃষ্টি হয়। এরপর সওজের নির্দেশে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটির ১ হাজার ৪১০ বর্গমিটার অংশ আবার মেরামত করে দেয়। কিন্তু তাতেও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সড়কটিতে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর কোনো মেরামতকাজ করবে না বলে জানায়। বর্তমানে সড়কটির ছয় কিলোমিটার অংশ বেহাল হয়ে পড়েছে। চার লেনের এই সড়কটির বিভাজকের উভয় দিকে ছয় কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। পুরো সড়কে সরু ফাটল তৈরি হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনের অংশ উঁচুনিচু হয়ে থাকায় চালকদের সতর্কতার সঙ্গে যানবাহন চালাতে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও সরু ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার পাশে নালা (ড্রেন) থাকলেও ওপরে ঢাকনা নেই।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে চলাচলকারী বন্ধন পরিবহনের চালক মো. শফি মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, লিংক রোডের দুরবস্থার কারণে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। অনেক সময় ভাঙা রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে। তখন যানজটের সৃষ্টি হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) বদরুল আলম মোল্লা বলেন, সম্প্রতি একটি মালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে কয়েক ঘণ্টা যানজট ছিল। গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক সড়কটি বর্ষা মৌসুমের আগেই মেরামত করার জন্য জেলা পুলিশ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সওজের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সওজের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে শামছউদ্দিন আহাম্মদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।