সিন্ডিকেটের ওই সদস্যরা বলেন, ২০১৪–১৫ সালের দিকে পিএইচডি করতে নির্দিষ্ট সময়ের (সাধারণত তিন বছর) জন্য বিদেশে যান ওই ১৩ শিক্ষক। ওই সময়ের মধ্যে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ারও পর তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেননি। তাই তাঁদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা অর্থ পরিশোধ করার জন্য তাঁদের চিঠি দেওয়া হবে। এই শিক্ষকদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। কিন্তু পাওনা পরিশোধ না করলে তা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।
ফার্মাসি অনুষদের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ওই ঘটনায় নিয়মিত মামলার সুপারিশ করেছে। বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হলে সিন্ডিকেট সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনও একই সুপারিশ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর ওই ঘটনায় মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে চুরির জন্য অনুষদের দুজন ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হয়েছে। মামলার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্যগুলো যাচাই করা হবে। এর আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষদ থেকে পাওয়া নথির তথ্য অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় পরিচালিত ফার্মাসি অনুষদের উন্নয়ন তহবিলের হিসাব থেকে ৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আর ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফার্মাসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব থেকে ৩ লাখ টাকা সরানো হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এ অর্থ সরানো হয়। চেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে অনুষদের সদ্য সাবেক ডিন এস এম আবদুর রহমানের সই। অবশ্য এই শিক্ষক প্রথম আলোর কাছে দাবি করেছেন, তাঁর সই নকল করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ব্যবহার করে অনুষদের শিক্ষকদের একাংশ তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।