ঢাবি ছাত্র হাফিজুরের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি

হাফিজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র ছিলেন
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হাফিজুর গত ঈদুল ফিতরের পরদিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল রোববার শাহবাগ থানায় হাফিজুরের ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন তাঁর ভাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী আজ সোমবার সন্ধ্যায় হাফিজুরের মৃত্যু তদন্তে কমিটি করার কথা জানিয়েছেন।

এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এর আগে আজ বিকেলে হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। ঘটনাটিকে ‘অস্বাভাবিক’ হিসেবে বর্ণনা করে উপাচার্য ওই ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকেও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
হাফিজুরের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঈদের পরদিন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছিলেন এই যুবক। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেও পারা যায়নি।

হাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিভিত্তিক সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঈদের পরদিন ১৫ মে নিজের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় ক্যাম্পাসে ফেরেন তিনি। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ ছিলেন হাফিজুর।