ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমানের মামলা প্রত্যাহার দাবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর এই জোট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানের (কার্জন) বিরুদ্ধে হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং এই আইনে গ্রেপ্তার সবার মুক্তির দাবি জানিয়েছে বামপন্থী তিনটি ছাত্রসংগঠনের এই মোর্চা।

ফেসবুকে পোস্টে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক গত সোমবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন। গত ২৩ জুলাই অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান ফেসবুকে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতমূলক’ একটি পোস্ট দেন বলে অভিযোগে ওঠে।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ এ বিষয়ে শনিবার গণমাধ্যমে একটি যৌথ বিবৃতি পাঠিয়েছেন। তাঁদের বিবৃতিতে বলা হয়, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে কার্যত ‘হত্যা’ করা হয়েছে৷ এই আইনে ঝুমন দাশসহ শিক্ষক-সাংবাদিক-রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের আন্দোলনের চাপে শাসকগোষ্ঠীর কর্তাব্যক্তিরা এই আইন সংশোধনের কথা বলেছিলেন। প্রগতিশীল ছাত্রজোট দীর্ঘদিন ধরে এই আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এ রকম সময়ে এই আইনে আবারও মামলা দেওয়া হলো।

জোটের নেতারা আরও বলেন, ‘মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি এতই সূক্ষ্ম যে কার কোন বিষয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগবে, তা কীভাবে নির্ধারিত হবে বা সেটি কে ঠিক করবে, সে সম্পর্কে এই আইনে কোনো কথা নেই। তাই এই আইনের অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আমরা অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সবার মুক্তি ও এই আইন বাতিলের দাবি জানাই।’