ঢামেক থেকে নিখোঁজ রোগী মাঈনুদ্দিনের সন্ধান মেলেনি

মো. মাঈনুদ্দিন

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে নিখোঁজ হওয়া রোগী মো. মাঈনুদ্দিনকে (২৮) এখনো পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মাঈনুদ্দিনকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহায়তা নিচ্ছে তারা।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২৩ অক্টোবর মাঈনুদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের ৬ তলার ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডের ২৯ নম্বর শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ২৬ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালের ১০ তলার একটি কক্ষ থেকে মাঈনুদ্দিন নিখোঁজ হন। রাতে এ ব্যাপারে তাঁর বাবা রবিউল হক শাহবাগ থানায় ছেলে হারানোর অভিযোগ করে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও থানায় আরেকটি ডায়েরি করা হয়।

নিখোঁজ রোগী মাঈনুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তাঁর বড় ভাই জামালউদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে জানান, এখনও তাঁর ভাইয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল শাহবাগ থানার পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মাঈনুদ্দিনের ঘটনায় তারা সিসিটিভির দুটি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এর একটিতে দেখা যায়, সকাল ৭টা ৩৬ মিনিটে একজন চিকিৎসকসহ মাঈনুদ্দিন ও তাঁর সঙ্গে থাকা ভাই ওয়ার্ড থেকে বের হন। আরেকটি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে মাঈনুদ্দিন ১০ তলার একটি কক্ষ থেকে একা বের হয়ে যান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে আমরা খুবই দুঃখিত। আমরা বলব, এখান থেকে আমরা শিক্ষাও নিচ্ছি। এটা একটি বৃহৎ হাসপাতাল, এখানে আনুমানিক তিন হাজার রোগী রয়েছেন। আমরা বলতে পারি না যে এটা একটি নিশ্ছিদ্র জায়গা।’

পরিচালক বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। সেখানে দেখা গেছে রোগী নিজেই হেঁটে চলে যাচ্ছেন। একজন রোগী যখন মনে করে চলে যাবেন, তখন তাঁকে ঠেকিয়ে রাখা খুবই কঠিন। সেই জায়গাটায় আমরা চ্যালেঞ্জে পড়েছি।’

নাজমুল হক আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারের যে নীতিমালা বা পদ্ধতি রয়েছে—একজন রোগী হারিয়ে গেলে আমরা কী কী করতে পারি, সেগুলো আমরা অবলম্বন করছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে যতক্ষণ না খুঁজে পাচ্ছি।’