তাঁদের অবস্থান নিয়ে রহস্য

.
.

কানাডাপ্রবাসী তামিম আহমেদ চৌধুরী, জাপানপ্রবাসী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি এবং অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী আবু তারেক মোহাম্মদ তাজউদ্দিন কাওসার—এই তিন প্রবাসী বাংলাদেশিকে জঙ্গিদের মদদদাতা হিসেবে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের মধ্যে প্রথম দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। পরের জন কম্পিউটার প্রকৌশলী। এই তিনজন কীভাবে এই পথে গেলেন, সেটা কোনোভাবেই মেলাতে পারছে না তাঁদের পরিবার।
মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস-এ এই তিনজনের জঙ্গি-সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওই পত্রিকাকে বলেছেন, এই তিন ব্যক্তি বাংলাদেশের ভেতরের জঙ্গি ও দেশের বাইরের সংগঠকদের মধ্যে যোগসূত্র হতে পারেন। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, দুই থেকে তিন ডজন (২৪ থেকে ৩৬) সিরিয়াফেরত যোদ্ধা বাংলাদেশের ভেতরে সক্রিয়। আরেক দল তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছে। আর তৃতীয় একটি দল দেশের ভেতরেই প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে ১০ জনের ছবিসহ পরিচয় প্রকাশ করে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে, তাতে এই তিনজনের নাম রয়েছে। এই তিন প্রবাসী বর্তমানে কোথায় আছেন, তা সংশ্লিষ্ট তিন দেশ ও বাংলাদেশ, এমনকি তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও জানেন না।

তামিম চৌধুরী এখন কোথায়: ১৯ জুলাই নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে লিখেছে, তামিম চৌধুরীকে নিয়ে এখন চিন্তিত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁর একটি সাক্ষাৎকার আইএসের মুখপত্র দাবিক-এ ছাপা হয়েছে। তাতে ভারতসহ এই অঞ্চলে রক্তাক্ত হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

এ বছরের ৮ জুন কানাডার একটি পত্রিকায় বলা হয়, আইএসের (ইসলামিক স্টেট) কথিত ‘বাংলার খিলাফত দলের প্রধান’ শায়খ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। তাঁর প্রকৃত নাম তামিম চৌধুরী। তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে চলে গেছেন। কানাডার পত্রিকা ন্যাশনাল পোস্ট এ খবর প্রকাশ করে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল অনলাইনে প্রকাশিত আইএসের নিজস্ব সাময়িকী দাবিক-এর ১৪তম সংখ্যায় আইএসের কথিত বাংলাদেশপ্রধান শায়খ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। কানাডার পত্রিকা ন্যাশনাল পোস্ট বলছে, তামিম চৌধুরীই শায়খ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ নাম ধারণ করেছেন।

পুলিশের ধারণা, তামিম, সাইফুল্লাহ ও কাওসার আইএসে অন্য বাংলাদেশিদের যোগ দেওয়ার এবং প্রশিক্ষণের ব্যাপারে মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন। তবে তামিমকেই বিশ্লেষকেরা আইএসের বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সমন্বয়ক বলে মনে করেন। এই তিন প্রবাসীর নাম আলোচনায় এলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তাঁদের পরিবার এবং এলাকার লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কথায় কথায় তাঁদের সম্পর্কে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে।

কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো অমরনাথ অমরসিঙ্গাম ন্যাশনাল পোস্টকে বলেছেন, তামিম চৌধুরী একসময় কানাডার অন্টারিওর উইন্ডসর শহরে থাকতেন। যাঁরা তামিমকে চিনতেন তাঁরা বলেছেন, তিনি শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ই-মেইলে যোগাযোগ করা হলে অমরসিঙ্গাম বলেন, তামিম চৌধুরী ২০১৩ সাল বা তার কিছু পরে বাংলাদেশের উদ্দেশে কানাডা ত্যাগ করেন। পুলিশের সন্দেহ, এই সময়ে তাঁর দুই বন্ধু যুদ্ধে যাওয়ার জন্য সিরিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অমরনাথ অমরসিঙ্গাম বলেন, ‘আমি তামিম চৌধুরীর পরিচিত কিছু লোককে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আমি আসলে জানি না, তিনি এখন কোথায়। তবে সে বড় ধরনের দানব (ঘোস্ট)।’

আমাদের সিলেট প্রতিনিধি সুমনকুমার দাশ জানান, তামিম আহমেদ চৌধুরীর বাড়ি সিলেটে। তাঁর আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭২-১৯৭৩ সালের দিকে তাঁর বাবা সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের বাসিন্দা শফি আহমেদ চৌধুরী সপরিবারে কানাডাপ্রবাসী হন। সেখানেই ১৯৮৬ সালে জন্ম হয় তামিমের। এরপর তামিম কয়েকবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সিলেটে এলেও কখনোই তিনি বিয়ানীবাজারের বাড়িতে যাননি।

তামিমের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, তামিম সর্বশেষ তাঁর বাবার সঙ্গে ২০০১ সালে সিলেটে এসেছিলেন। তবে তখন তাঁরা প্রায় তিন মাস সিলেট শহরের একটি ভাড়া বাসায় ছিলেন। তামিমরা তিন ভাই ও এক বোন। তাঁর নানার বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবের আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তামিমের জঙ্গি-সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানার পরপরই আমরা তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছি। তবে জন্মের পর সে কখনোই বিয়ানীবাজারে আসেনি বলেও আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। কানাডা থেকে নিখোঁজ হওয়ার কারণে তাঁর সম্পর্কে আমরা খুব বেশি অবহিত হতে পারিনি।’

জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়ে ধর্মান্তরিত হন সাইফুল্লাহ: সাইফুল্লাহ ওজাকির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে তাঁকে সজিত দেবনাথ বলে পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের কড়ই গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী জনার্দন দেবনাথের বড় ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় দশম এবং এইচএসসি পরীক্ষায় ১১তম স্থান অর্জন করেন। ২০০১ সালে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে সে দেশের এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান। এরপর বিবিএ এবং এমবিএতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডক্টরেটডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরে তিনি জাপানের এক ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সজিতের নাম রাখা হয় সাইফুল্লাহ ওজাকি। তাঁদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র বোন রীনা দেবনাথের বিয়ের সময় ২০০৮ সালে দেশে এসে শেষবারের মতো বাড়িতে ছিলেন সজিত। তখন কাপড় দিয়ে মুখের দাড়ি ঢেকে রাখেন। রীনার বিয়ের পর তিনবার দেশে এলেও নিজ বাড়িতে যেতেন না। সে সময় দাড়ি থাকায় কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতেন। কারণ জানতে চাইলে মুখে ইনফেকশন হয়েছে বলে সবাইকে জানিয়েছিলেন।

নবীনগরের কড়ই গ্রামে সজিতের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, একটি পাকা ভবনের ঘরে বিছানার মধ্যে তাঁর বাবা জনার্দন শুয়ে আছেন। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে সজিত দেশে এসে চেয়ারম্যানের বাড়িতে বসে আমাদের খবর দেয়। আমরা সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করি। সে ওই দিন ঘণ্টা খানেক অবস্থান করেছিল। এর আগে ২০০৬ সালে সজিত আমাকে জাপানে নিয়েছিল। তখন সেখানে আমি ২২ দিন ছিলাম। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে প্রথম হওয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান সজিতকে একটি মোটরসাইকেল উপহার দিয়েছিলেন।’

সজিতের মা অনিমা রানী দেবনাথ বলেন, ‘ধর্ম পরিবর্তন করায় বাবাকে সে খুব ভয় পেত। বাবার সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। কিন্তু আমার সঙ্গে সে প্রায়ই মুঠোফোনে কথা বলত। ২০০৯ সালে সজিতের প্রথম সন্তান মুছার জন্মের আগে আমাকে জাপানে নিয়েছিল। তিন দিন থাকার পর আমি দেশে চলে আসি।’

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি একটি সন্ত্রাসী ঘটনার মামলার তদন্ত করতে সজিতের বাড়িতে পুলিশ আসে। ওই দিনই বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে সজিতের সঙ্গে কথা হয় পরিবারের সদস্যদের। তবে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এরপর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ রয়েছে।

সজিতের বোন রীনা দেবনাথ বলেন, ২০১১ সালের শেষের দিকে তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন সজিত। তখন ঢাকার উত্তরায় থাকতেন। সে সময় ঢাকার আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে মাস খানেক যোগদান করেছিলেন।

নবীনগর থানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মে সন্ত্রাসী ঘটনার অপরাধে সজিতের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকার গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ঘটনাটির তদন্ত করছিল। তাঁর নাম ও ঠিকানা যাচাই করার জন্য ঢাকার ডিবি নির্দেশ দিয়েছিল। পরে তদন্ত করে প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তের জন্য নাম ও ঠিকানা যাচাই করতে বলেছিল। তা যাচাই করে সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাপান সরকার এই ওজাকির সম্পর্কে এ বছরের জুনে তথ্য জানতে চেয়েছিল। আমরা সেই তথ্য দিয়েছি। এ ছাড়া তাঁকে আটক করে জাপানের কাছে সোপর্দ করা হয়।’

কম্পিউটার প্রকৌশলী তাজউদ্দিন কাওসারও এই পথে: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী এ টি এম তাজউদ্দিনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আটিয়াতলী গ্রামে। তিনি মৃত মো. আবদুল্যাহ ভূঁইয়ার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার বড়। কাওসারের মা তাহেরা বেগম একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি প্রথম আলোকে বলে, ২০০৬ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়তে অস্ট্রেলিয়ায় যান তাঁর ছেলে।

আমাদের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি এম জে আলম জানান, তাজউদ্দিনের জন্ম ১৯৮১ সালের ১ মার্চ। এরপর আটিয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন তিনি। পরে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি উত্তীর্ণ হন। পরে ১৯৯৯ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৪ সালে কম্পিউটার সায়েন্স টেকনোলজি বিভাগ থেকে বিএসসি ডিগ্রি নেওয়ার পর ২০০৬ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান।

তাজউদ্দিন ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এক তরুণীকে বিয়ে করে ওই দেশের নাগরিকত্ব পান। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ২০১৩ সালে অসুস্থ বাবা আবদুল্যাহ ভূঁইয়াকে দেখার জন্য বাংলাদেশে আসেন তিনি। এরপর আর বাড়ি আসেননি। তাহেরা বেগম বলেন, তাজউদ্দিন অপরিচিত নম্বর থেকে মাঝেমধ্যে তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন। গত রমজান মাসের কয়েক দিন আগে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। এরপর আর ওই মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তাহেরা বেগম বলেন, ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার পর নিখোঁজ ১০ যুবকের তালিকা প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন সংবাদপত্রে তাজউদ্দিনের নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। পরে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তাহেরা বেগম থানায় জিডি করেছেন। আমরা খোঁজখবর নিয়ে যতটুকু জেনেছি, তাঁর ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় আছে ও জীবিত আছে। আমরা এই বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’