ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন আজমেরী ওসমান

ত্বকী হত্যা
ত্বকী হত্যা

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন জেলার-৫ আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টির নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমান। গত মঙ্গলবার এ মামলার আসামি সুলতান শওকত ওরফে ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানান। নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

সুলতান শওকত বলেন, গত ৬ মার্চ রাতে শহরের কলেজ রোডে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে খুন করা হয়। খুনের পর লাশ বস্তাবন্দী করে আজমেরী ওসমানের গাড়িতে তুলে চারারগোপে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় রূপগঞ্জ থেকে সুলতান শওকতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৬ মার্চ নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির ছেলে ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই রফিউর রাব্বি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ওসমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে একটি অবগতিপত্র দেন।

ত্বকী হত্যা মামলার বাদী রফিউর রাব্বি আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন,  ‘নাসিম ওসমান ও  শামীম ওসমানের নির্দেশে আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমান তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ত্বকীকে অপহরণের পর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে খুন করেছে। আসামি ভ্রমরের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর তদন্তকারী সংস্থার উচিত অবিলম্বে নাসিম ওসমান, শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমানসহ তাদের সহযোগী খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা। ত্বকী হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আমরা বলে আসছিলাম, ওসমান পরিবারই ত্বকীকে খুন করেছে। এ ছাড়া ত্বকী হত্যাকাণ্ডের পরপরই ১৩ মার্চ সাংসদ নাসিম ওসমান তাঁর ছেলে আজমেরী ওসমানের সাথে মুঠোফোনে যেসব কথা বলেন, তাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে কারা ত্বকীকে খুন করেছে।’