ত্বকের জন্য টোনিং

টানটান, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চাই টোনিং। মডেল: মল্লিকা
টানটান, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চাই টোনিং। মডেল: মল্লিকা

গত বছর কেনা আপনার সুন্দর ফুলেল ছাতাটার রং খেয়াল করে দেখেছেন কখনো? খানিকটা বিবর্ণ, তাই না? এবার তবে আয়নায় নিজের চেহারাটাও একবার দেখে নিন। রোদে পুড়ে ঘামে ভিজে ওই শখের ছাতার মতোই হয়ে যাচ্ছে না তো আপনার চেহারা! আপনার বেহাল ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য চাই ত্বকের টোনিং।
হারমনি স্পার আয়ুর্বেদ ও রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘বাইরে থেকে ফিরে এসে ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগালেই ত্বকের যত্নের কাজ শেষ হয়ে গেল না। ত্বক পরিষ্কার করার পরপরই চাই বাড়তি যত্ন, আর এর নামই হলো ত্বকের টোনিং।’
ত্বকের টোনার ও এর ব্যবহারবিধি নিয়ে রইল তাঁর কিছু পরামর্শ। প্রতিদিনের কাজ শেষে ঘরে ফিরে আপনার প্রথম কাজ হবে সুন্দরভাবে ত্বক পরিষ্কার করা। সে ক্ষেত্রে ত্বকের ধরন বুঝে ফেসওয়াশ বা সাবান নির্বাচনে যেন ভুল না হয়। ত্বক পরিষ্কারের পর ত্বকের টোনিং করতে হবে। এর জন্য প্রসাধনীর দোকান থেকে টোনার কিনে নিতে পারেন। তবে রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক টোনারগুলো বেশি উপযোগী।
ঘরে বসেই তৈরি করে নিতে পারেন আপনার ত্বক উপযোগী টোনার। আধা কাপ গোলাপ জলের সঙ্গে এক চিমটি ফিটকিরি মিশিয়ে রেখে দিন ফ্রিজে। বাইরে থেকে ফিরে মুখ ধুয়ে হালকা ভেজা অবস্থায় তুলার সাহায্যে পুরো মুখে আলতো করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
গোলাপ জলের সঙ্গে এক চামচ শসার রস মিশিয়েও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা ল্যাভেন্ডার তেলের সঙ্গে খানিকটা লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। তৈলাক্ত ত্বকে গোলাপ জল ও ল্যাভেন্ডার তেল একসঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এ ধরনের ত্বকে গ্লিসারিন ও গোলাপ জল ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। যাঁদের ত্বক অধিক শুষ্ক, তাঁরা গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের সঙ্গে খানিকটা জলপাই তেল মিশিয়ে লাগাতে পারেন। যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর তাঁদের টোনিং না করাই ভালো।
মনে রাখবেন, ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে তুলার সাহায্যে খুবই আলতোভাবে। টোনিং শেষে অবশ্যই পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন এবং হালকা ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। প্রচুর পানি পান করুন। সবজি ও ফলমূল খান।