ত্রিপুরায় লালন উৎসব

অসাম্প্রদায়িক চেতনার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে লালন সংস্কৃতি। আর সেটা মাথায় রেখেই ভারতের ত্রিপুরায় রোববার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন আয়োজন করে লালন উৎসবের।

স্থানীয় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে কুষ্টিয়া লালন একাডেমির শিল্পীরা বাউল গানের সুরে মাতিয়ে তোলেন দর্শকদের। ত্রিপুরার নববোধন-এর শিল্পীরা প্রথমে লালন ফকিরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাউলের সুরে নৃত্যের মাধ্যমে শুরু করেন সান্ধ্যকালীন অভিযাত্রা। এরপর আবদুল বারিক, আকলিমা পারভিন, টুটুল, নূর-এ-ইয়াসমিনরা মাতিয়ে তোলেন দর্শকদের।

‘মিলন হবে কত দিনে’ সুরের মূর্ছনাতে একদিন যাঁরা বাউল সাধনায় মেতেছিলেন, তাঁরাই তুলে ধরলেন বাংলার সংস্কৃতি। বক্তৃতাহীন মনোরম অনুষ্ঠানে বোঝানো হলো, বাউলদের কাছে মানবতা ও প্রেমই হচ্ছে প্রধান ধর্ম। বাউলরা হিন্দু ও ইসলাম উভয় ধর্মের মধ্যেই সেতুবন্ধন রচনা করে চলেছেন। সাম্প্রদায়িকতার বীজ সমাজ থেকে দূর করতে ডাক দেওয়া হলো বাংলার প্রচলিত সুরে। আর পুরো অনুষ্ঠানে আবদুল কুদ্দুস ঢোলের বোলে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার শাখাওয়াত হোসেন, প্রথম সচিব মনিরুজ্জামান ছাড়াও ত্রিপুরার বিশিষ্টজনেরা উপভোগ করেন বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক উৎসব।