দাউদকান্দিতে চিনে ফেলায় নৈশপ্রহরীকে পুড়িয়ে হত্যা

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় নৈশপ্রহরী সফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জবানবন্দিতে তিনি বলেন, বাজারে চুরি করার উদ্দেশ্যে তিনি ও তাঁর সহযোগীরা ঢুকেছিলেন। কিন্তু চিনে ফেলায় তাঁরা সফিকুলকে শ্বাসরোধের পর পুড়িয়ে হত্যা করেন।
ওই আসামির নাম জাহিদ হাসান। তিনি দাউদকান্দি উপজেলার দৈয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন পেন্নাই গ্রামের মাছুম মিয়া, দড়িকান্দি গ্রামের শাহীন মুনশি ও নাজমুল হাসান, মৌটুপী গ্রামের নাছির মুনশি এবং শোলাকান্দি গ্রামের রাহিম মিয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১২ মার্চ ভোররাতে গৌরীপুর বাজারের নিউমার্কেটের নৈশপ্রহরী সফিকুল ইসলামকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী জোসনা আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৬ মার্চ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা (ডিবি) শাখাকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ কামাল আকন্দ জানান, গতকাল জাহিদ হাসান কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. নূরুল আফছারের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, তিনি তাঁর দুই সহযোগীকে নিয়ে ১২ মার্চ ভোররাতে নিউমার্কেটের নৈশপ্রহরী সফিকুল ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁরা ওই মার্কেটের রিভা টেলিকমের শাটার কেটে ভেতরে ঢুকে ৩৫টি মুঠোফোন এবং ৫৭ হাজার টাকা লুটে নেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ আরও জানান, দোকান থেকে লুটে নেওয়া মুঠোফোনের মধ্যে দুটি সেট জাহিদকে দেওয়া হয়। ওই মুঠোফোনের সূত্র ধরেই গত বুধবার বিকেলে দাউদকান্দির গৌরীপুর অটোরিকশাস্ট্যান্ড থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে লুটে নেওয়া দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।