তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা এক মামলায় একজন আসামির জামিন আবেদনের শুনানি বিষয়ে আইনের বিধান অনুসরণ না হওয়ায় অধস্তন আদালতের দুই বিচারককে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই বিচারককে সতর্ক করে রায় দেন। একই সঙ্গে মামলার আসামি আহমেদ সবুজকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের এক আদেশের বিরুদ্ধে সবুজের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ১৩ মার্চ হাইকোর্ট দুই বিচারককে লিখিতভাবে ২২ মার্চের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেন। জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করার বিষয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. সাইফুল ইসলাম এবং গ্রহণ না করার বিষয়ে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের কাছে এই ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। ধার্য তারিখে দুই বিচারকের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হয়।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিমুল এহসান জুবায়ের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
পরে শেখ মনিরুজ্জামান কবীর প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, জেলা জজ (মাগুরা) জামিন আবেদন (আহমেদ সবুজ) শুনানির জন্য গ্রহণ না করে এবং সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে ভুল করেছেন। যেহেতু ওই মামলায় এখনো পুলিশ প্রতিবেদন হয়নি। পুলিশ প্রতিবেদন হওয়ার পর মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে যাবে। হাইকোর্ট ওই দুই বিচারককে সতর্ক করেছেন। রায়ের অনুলিপি দেশের সব জেলা জজ, মুখ্য বিচারিক হাকিম, মুখ্য মহানগর হাকিম ও সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আমিমুল এহসান জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, রায়ে আদালত বলেছেন, পুলিশ প্রতিবেদন আসার আগ পর্যন্ত ওই আইনের কোনো মামলা বা কারও জামিনের আবেদন সাইবার ট্রাইব্যুনাল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে পারবেন না। আইনের ৬৯ ধারায় এ বিষয়ে বলা আছে। সাইবার ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে সবুজের আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।