দুদকের কর্মকর্তা শরীফের চাকরিচ্যুতির ঘটনা তদন্তের দাবি সংসদে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি এবং তাঁর তদন্ত করা মামলাগুলো পুনঃতদন্তে পাঠানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি মনে করেন, আলোচিত ওই কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির পেছনে শক্ত হাত রয়েছে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এই দাবি জানান সাংসদ রাশেদ খান মেনন। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া শরীফ উদ্দীনকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনাকে অসাংবিধানিক হিসেবে উল্লেখ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলের এই নেতা।
মেনন প্রশ্ন রাখেন, দুদক যে কর্মকর্তাকে দুদিন আগে অতি উত্তম বলেছিল, কী কারণে তাঁকে এক খোঁচায় চাকরিচ্যুত করা হলো। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, চট্টগ্রামের এলআর শাখায় দুর্নীতি, রেলওয়েতে নিয়োগসহ কিছু বিষয় তদন্ত করছিলেন। যেগুলো জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে মেনন বলেন, শরীফের তিনটি আলাদা তদন্তে প্রশাসন ক্যাডারের ২০ জন, পুলিশের ৪ জন, সার্ভেয়ার ২৩ জনসহ রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সরকারি কর্মচারীদের নাম এসেছিল। ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে মামলাগুলো পুনঃতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদি এসব তদন্তের কারণে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়, তাহলে এর পেছনে শক্ত হাত রয়েছে। বিষয়টি সংসদের খতিয়ে দেখা দরকার। এ জন্য তিনি একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করার দাবি জানান।

আরও পড়ুন

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন। তিনি সর্বশেষ পটুয়াখালী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন