দুর্নীতির মামলায় এরশাদের আপিলের রায় হয়নি

দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের করা আপিলের (১৭৩/১৯৯২) রায় হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের দুটি আপিল বিচারাধীন থাকায় এবং একসঙ্গে শুনানির আদেশ থাকায় গতকাল রায় ঘোষণা হয়নি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য তিন আপিলের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এই বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় এরশাদের সাজা বাড়ানোর জন্য ১৯৯২ সালে সরকার হাইকোর্টে দুটি আপিল করে। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণও করা হয়। গতকাল এ-সংক্রান্ত আদেশ আদালত উভয় পক্ষকে দেখিয়েছেন। সরকারের দুই আপিল একসঙ্গে শুনানি হবে বলে আদেশ রয়েছে। বর্তমান আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে এক আদেশেও একসঙ্গে শুনানি হবে বলা হয়েছে। এখন যদি একটি আপিলের ওপর আদেশ হয়, অন্য দুটি থেকে যায়, তাহলে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তাই তিন আপিলের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত।

প্রধান বিচারপতি এখন হাইকোর্টের যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সেই বেঞ্চে একসঙ্গে তিন আপিলের ওপর শুনানি হবে বলে জানান খুরশীদ আলম খান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির মামলাটি করে। এতে অভিযোগ করা হয়, ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে পাওয়া বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি, যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা। ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। তিনি ওই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ৯ মার্চ।