দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বেশি বরাদ্দ রাখার সুপারিশ

বাড়ির ভিটা থেকে বন্যার পানি নামায় ১০ দিন পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি একটি পরিবারের। শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ
ছবি: আনিস মাহমুদ

ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ত্রাণ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সমহার-নীতি অনুসরণের পরিবর্তে প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে যেসব অঞ্চল বেশি দুর্যোগপ্রবণ, সেখানে বেশি পরিমাণে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সুনামগঞ্জ ও সিলেট এলাকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয়। বন্যা প্লাবিত জেলাগুলোতে বন্যা–পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিউবওয়েল, ঘরবাড়ি মেরামতের টিন, স্কুল ঘর মেরামত, পানিবাহিত রোগবালাই রোধে ওষুধপথ্য সরবরাহের সুপারিশ করা হয়।

বন্যাকবলিত জনগণের মধ্যে কী পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে, মানুষের কষ্ট লাঘবে আরও কী পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন, বন্যাদুর্গতদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং বন্যা–পরবর্তী দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে সংসদীয় কমিটির জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করবে সংসদীয় কমিটি। আগামী শনিবার কমিটি বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, পঞ্চানন বিশ্বাস, আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ, জুয়েল আরেং, মজিবুর রহমান চৌধুরী ও কাজী কানিজ সুলতানা বৈঠকে অংশ নেন।