
তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। দেশের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। নিজের চেয়ে দেশ বড়।’ গতকাল সোমবার মাদারীপুর জেলার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রথম আলোর উদ্যোগে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সহযোগিতায় দেশব্যাপী এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার ২০০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মাদারীপুর সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মো. দানেশ মিয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে তোমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। মাদারীপুর সরকারি ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের বিদ্যালয়কে সমঞ্চাননা জানানোর জন্য প্রথম আলোকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।’ মাদারীপুর ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারগিস বেগম বলেন, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। টেলিটকের জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তোমাদেরও তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিবচর আজিফা-রবিউল্লা-লাইসিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীর নাট্য প্রশিক্ষক আ জ ম কামাল প্রমুখ। জেলার সেরা ফল অর্জনকারী মাদারীপুর সরকারি ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়, মাদারীপুর ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং শিবচর আজিফা-রবিউল্লা-লাইসিয়া উচ্চবিদ্যালয়কে ক্রেস্ট দিয়ে সমঞ্চাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বরিশাল বন্ধুসভার সদস্য সুদীপ কুমার নাথ। সংগীত পরিবেশন করেন সীমা সাহা, চয়ন মল্লিক ও সানজিদা। নাচ করেন কৃতী শিক্ষার্থী লাবিবা, সানজিদা, জেবা আনজুমান এবং মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমী ও কালকিনি বন্ধুসভার শিল্পীরা।