দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো। কারণ, বাংলাদেশে গুয়ানতানামোর মতো কারাগার নেই। বাবা–মায়ের কাছ থেকে শিশুদের বছরের পর বছর আলাদা করে রাখা হয় না।

যুক্তরাষ্ট্রে সাত বছরে পুলিশের গুলিতে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সংবাদ উদ্ধৃত করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের সব পত্র–পত্রিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করছে, কিন্তু বিএনপি অভিনন্দন জানাতে পারেনি। বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু অভিনন্দন জানাননি। পদ্মা সেতু হওয়ায় বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে কোনো কথা নেই। তিনি জানান, যে ব্যক্তি পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলেছেন, তিনি আগে ছাত্রদল করতেন।

হার্ডিঞ্জ ব্রিজের সঙ্গে তুলনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, স্বর্ণের মূল্যমান ধরে এখন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ করতে হলে ব্যয় হতো ৫৮ হাজার কোটি টাকা। আর পদ্মা সেতু করতে লাগত ১ লাখ হাজার কোটি টাকা।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, টিআইবি, সিপিডিসহ কয়েকটি সংস্থা এবং বিএনপি সব সময় বলে, বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়, বাজেট গরিবের কল্যাণে আসবে না। ১০–১২ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছে, কিন্তু প্রতিবছরই বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯৫ থেকে ৯৭। এখন দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ২০–এ নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেশী দেশসহ পশ্চিমা বিশ্বের কয়েকটি দেশের চেয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কম জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডসের চেয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কম।

অনেক কষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু দাঁড় করিয়েছেন মন্তব্য করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান বলেন, ‘যাঁরা পরের ভালো দেখতে পারেন না তাঁরা বলেছেন, এটা করতে পারবেন না। এগুলো দেখার সময় ওনার (প্রধানমন্ত্রীর) নেই। উনি যেভাবে দেশটার উন্নতি করছেন, আরও করবেন। আমরা তা বিশ্বাস করি।’

সংসদ সদস্যদের বাসভবন ও সংসদ ভবনের সুযোগ–সুবিধা আধুনিকায়নের কথা তুলে ধরে মসিউর রহমান বলেন, ‘আগে বাথরুমে (সংসদ ভবনের) যাওয়ার ভয় ছিল। এখন দেখি বাথরুম এত সুন্দর যে বসে মনে হয় নাশতাও করা যাবে।’