দেশে বড় বিপদে চিতা বাঘ

  • দেশে এখন ৩০ থেকে ৫০টি চিতা বাঘ আছে।

  • ১৮ বছরে সাতটি চিতা বাঘ হত্যা, সব উত্তরবঙ্গে।

  • ২২টি চিতার দেখা পাওয়া গেছে ১৮ বছরে।

  • পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের বনে এদের স্থায়ী বসতি।

চিতা বাঘ
ছবি: ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স

আশির দশকেও দেশের তিন পার্বত্য জেলার বনাঞ্চলে বেঙ্গল টাইগার আর চিতা বাঘ পাশাপাশি থাকত। এখন আর বেঙ্গল টাইগারদের সেখানে দেখা যায় না। তারা শুধু সুন্দরবনেই টিকে আছে। তবে তিন পার্বত্য বনসহ দেশের আরও তিনটি বনাঞ্চলে এখনো কোনোমতে টিকে আছে চিতা বাঘ। যদিও সংখ্যায় তারা খুব কম।

খাবারের জন্য লোকালয়ে এসে হত্যার শিকার হচ্ছে চিতা বাঘ। দেশের উত্তরাঞ্চলে এটা বেশি ঘটছে। ১৮ বছরে সাতটি চিতা বাঘ পিটিয়ে মারা হয়েছে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত লাগোয়া জেলায়। পাশাপাশি বনভূমি কমে যাওয়ায় বড় বিপদে আছে চিতা বাঘসহ দেশীয় মেঘলা চিতা বা গেছো বাঘ, সোনালি বিড়াল বা গোল্ডেন ক্যাট, মেছো বাঘ, জংলি বিড়াল, মার্বেল বিড়াল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার কুইবেক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের বন বিভাগ এবং ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের যৌথ গবেষণা।

চলতি বছরের ২০ মার্চ রাঙামাটিতে একটি চিতা বাঘ দেখতে পেয়েছে ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স নামের বন্য প্রাণীবিষয়ক একটি সংস্থার প্রতিনিধিরা। চিতাটির ছবিও তুলেছেন তাঁরা। এর আগে সংস্থাটির ফাঁদ ক্যামেরায় পার্বত্য চট্টগ্রামে আরেকটি চিতার ছবি ধরা পড়েছিল।

রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমা সম্প্রতি কাসালং বনভূমিতে চিতার মল দেখতে পেয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান বছর পাঁচেক আগে রেমা বনে দুটি চিতা বাঘ দেখতে পেয়েছিলেন। বনের লাগোয়া একটি গ্রামে দুটি গরুর ওপর আক্রমণ করেছিল চিতা দুটি। এর মধ্যে একটি গরুকে টেনে গভীর বনে নিয়ে যায়। দুই বছর আগে রাঙামাটির বনেও তিনি চিতা বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন।

বন্য প্রাণীবিষয়ক গবেষক এবং এ–সংক্রান্ত সংস্থাগুলো মনে করছে, দেশে এখন ৩০ থেকে ৫০টি চিতা বাঘ টিকে আছে। যার বড় অংশের বাস খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির বনাঞ্চল। এ ছাড়া কক্সবাজার, সিলেট বিভাগের একাধিক এলাকা, শেরপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়সহ দেশের উত্তরাঞ্চলে কদাচিৎ চিতা বাঘ দেখা যায়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে মোট আট ধরনের বিড়ালজাতীয় প্রাণীর মধ্যে বেঙ্গল টাইগারের পরেই চিতা বাঘের অবস্থান। এটি স্বভাবগতভাবে কিছুটা আড়ালে বা লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। খাবারের সংকটে না পড়লে তারা মানুষের বসতি এলাকায় আসে না। এরা দেশের কয়েকটি বনে বিস্তৃত এলাকা ধরে বিচরণ করায় এদের শুমারি বা জরিপ করা কঠিন। তবে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৫০টি চিতা থাকতে পারে। এদের বেশির ভাগ বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী বনভূমিতে থাকে। এদের বসতি এলাকা রক্ষা করতে না পারলে এরা এই দেশ থেকে চলে যাবে।

হত্যা, পাচার ও বসতি এলাকার সংকট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার কুইবেক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের বন বিভাগ এবং ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স যৌথভাবে দেশের চিতা বাঘ চিহ্নিত করা নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। ২০০২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে দেখা গেছে এমন চিতা বাঘের ধরন, বৈশিষ্ট্য এবং পরিণতি নিয়ে তারা একটি মূল্যায়নও করেছে। তাতে দেখা গেছে, ওই সময়কালে দেশে ২২টি চিতা বাঘ দেখা গেছে। এর মধ্যে সাতটি চিতাকে গ্রামবাসী পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। মেরে ফেলার সব কটি ঘটনা ঘটেছে দেশের উত্তরাঞ্চলে।

দেশের বন্য প্রাণী গবেষকেরা যে কটি চিতা বাঘ দেখেছেন, তার মধ্যে ছয়টি পার্বত্য চট্টগ্রামে ও দুটি কক্সবাজারের টেকনাফ বনাঞ্চলে। সিলেট ও মৌলভীবাজারের বনভূমিতেও বিভিন্ন সময়ে চার থেকে ছয়টি চিতা বাঘ দেখা গেছে।

গবেষক দলটি মনে করছে, দেশে চিতা বাঘের সংখ্যা দ্রুত কমছে। এর মূল কারণ, প্রাণীটি রক্ষায় দেশে কোনো উদ্যোগ নেই। বিশ্বে চিতা বাঘ আছে এমন দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে শুধু এই প্রাণীটির অবস্থান, সংরক্ষণ কৌশল এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি।

তবে বাংলাদেশে বেঙ্গল টাইগার নিয়ে এ পর্যন্ত ২৮টি মৌলিক গবেষণা হয়েছে। সরকার বাঘ রক্ষায় গত এক যুগে শতাধিক কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু চিতা বাঘ ও অন্যান্য বিড়ালজাতীয় প্রাণী রক্ষায় এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

গবেষণা প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার সংরক্ষিত বনভূমির প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, এই বনে একসময় বেশ কয়েকটি চিতা বাঘ দেখা গিয়েছিল। সেখানে তাদের বসতি ছিল। রোহিঙ্গা শিবির তৈরি করতে গিয়ে ওই বনের বড় অংশ কাটা পড়ে। ফলে সেখান থেকে চিতা বাঘগুলোর অন্যত্র চলে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা–তীরবর্তী জেলাগুলোয় প্রায়ই চিতা বাঘ চলে আসে। কারণ, তিস্তার উজানে ভারতীয় অংশের বনভূমিতে চিতা বাঘ বেশ ভালো পরিমাণে আছে। সেখান থেকে মাঝে মাঝে লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং পঞ্চগড়ে চিতা বাঘ চলে আসার ঘটনা ঘটেছে। একবার শেরপুরেও একটি চিতা দেখা গিয়েছিল। উত্তরাঞ্চলের চিতাগুলো স্থানীয়দের আক্রমণে মারা যায়। তবে শেরপুরেরটি মানুষের আক্রমণের কবল থেকে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চিতা বাঘ চোরাচালানের অন্যতম পথ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৫টি জীবিত চিতা উদ্ধার করেছে। তবে এর সব কটিই ছিল আফ্রিকান উপপ্রজাতির চিতা। বাংলাদেশ ও ভারত থেকে এই চিতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বন্য প্রাণী পাচার প্রতিরোধবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রাফিক–এর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিতা বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী পাচারের পথ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যবহৃত হয়। ওই চিতাগুলো মূলত ভারত থেকে বাংলাদেশে হয়ে থাইল্যান্ডে পাচার হচ্ছিল।

এ ব্যাপারে গবেষণা দলটির অন্যতম প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মুনতাসির আকাশ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে চিতা ও বিড়ালজাতীয় বন্য প্রাণীগুলো রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশে এদের সংখ্যা দ্রুত কমছে। দেশের বনভূমি ও সীমান্ত এলাকাগুলো দিয়ে যেসব চিতা বাঘ লোকালয়ে আসে, তাদের বেশির ভাগ জীবন্ত ফিরতে পারে না, তাদের স্থানীয়রা মেরে ফেলে। অথচ চিতা বাঘ যেকোনো পরিবেশে খাপ খাইয়ে চলার মতো একটি প্রাণী।

মুনতাসির আকাশ জানান, ভারতের মুম্বাই শহরের পাশের একটি জাতীয় উদ্যানে অনেক চিতা বাঘ আছে। সেগুলো কীভাবে রক্ষা করতে হবে, তার একটি ব্যবস্থাপনা কৌশল ও পরিকল্পনা তারা করেছে। চিতাগুলো মানুষের বসতি এলাকায় চলে এলে তাদের আবার বনে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাপনা সেখানে আছে।

সারা দেশে ছিল চিতা বাঘ

১৯৬৬ সালে মুক্তধারা থেকে প্রকাশিত মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর বাঘ-বন–বন্দুক বইতে দেশের বেশির ভাগ বনে ও ঝোপ এলাকায় চিতা দেখতে পাওয়ার বর্ণনা আছে। খোদ মধুপুরের বনে দিনের বেলায় হরহামেশা চিতা বাঘ ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা শহরেও প্রচুর চিতা বাঘ দেখা যেত। ১৯৯৬ সালে সাহিত্য প্রকাশ থেকে বের হওয়া এনায়েত মওলার যখন শিকারি ছিলাম বইতে ঢাকার মিরপুর এলাকায় দুটি চিতা বাঘ মারার ঘটনার বর্ণনা আছে।

তবে কখনোই দেশে চিতা বাঘের মোট সংখ্যা কত, তা নিয়ে কোনো জরিপ বা সমীক্ষা হয়নি। বরং চিতা বাঘ মেরে তার চামড়া বাসায় ঝুলিয়ে রাখা ছিল আভিজাত্য ও বীরত্বের প্রতীক। পায়ের নিচে মৃত চিতা বাঘ আর হাতে বন্দুক উঁচিয়ে তোলা ছবি অনেক জমিদার ও অভিজাতদের বাসার বৈঠকখানায় শোভা পেত।

২০১৬ সালে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন থেকে দেশের বিপন্ন বন্য প্রাণীদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে চিতা বাঘকে বাংলাদেশের জন্য অতিবিপন্ন তালিকায় যুক্ত করা হয়।

তবে বন্য প্রাণী গবেষকেরা বলছেন, দেশে চিতা বাঘের প্রকৃত সংখ্যা বের করা খুব কঠিন। যেমন বাঘ সুন্দরবনে বসবাস করায় এবং সেখানে কর্দমাক্ত মাটির কারণে বাঘের পায়ের ছাপ রয়ে যায়। কিন্তু চিতা মূলত দেশের পাহাড়ি বনভূমির শক্ত মাটির এলাকায় থাকে। বেঙ্গল টাইগার যেমন তার বসবাসের এলাকায় নির্বিঘ্নে চলাচল করে, চিতা বাঘ তেমনটা করে না। এরা গভীর বনে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। আর এদের বসতি এলাকা বিস্তীর্ণ। ফলে ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে ছবি তুলে চিতার প্রকৃত সংখ্যা বের করা কঠিন। তবে এদের বসতি এলাকাকে সুরক্ষা দিলে এবং জনবসতিতে এরা চলে এলে তাদের মেরে না ফেলে বনে তাড়িয়ে দিতে পারলে এ অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

এ ব্যাপারে বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চিতা বাঘের বসতি এলাকার সামগ্রিক প্রতিবেশব্যবস্থা রক্ষা করার জন্য কাজ করছি, যাতে চিতাসহ সব ধরনের বন্য প্রাণী রক্ষা পায়। আর গ্রামে চিতা চলে এলে যাতে আক্রমণ করে তাকে হত্যা করা না হয়, সে ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করছি।’

চিতা বাঘের বৈশ্বিক চিত্র

বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কমবেশি চিতা বাঘ আছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চিতা বাঘের ভারতীয় উপপ্রজাতিটি সবচেয়ে বেশি। ভারতের পূর্বাঞ্চলে সাত রাজ্যে চিতা বাঘ নিয়ে কোনো জরিপ হয়নি। এ রাজ্যগুলো বাদ দিয়ে দেশটির বন বিভাগের হিসাবে প্রায় ১৫ হাজার চিতা বাঘ রয়েছে।

এর বাইরে মিয়ানমারে ২০ থেকে ২৫টি, পাকিস্তানে ১৫ থেকে ২০টি এবং নেপালে প্রায় ১০টি চিতা রয়েছে। এসব দেশের বন বিভাগ চিতা বাঘ রক্ষায় আলাদা উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানকার চিতা বাঘের বৈশিষ্ট্য ও ধরন নিয়েও অনেক গবেষণা হয়েছে।

বাংলাদেশে ভারতীয় চিতার মধ্যে অতি দুর্লভ কালো চিতাও দেখা গেছে। ১৯৯০–এর দশকে বান্দরবানের রেমাক্রি ও আলীকদমে কালো চিতা দেখা গিয়েছিল। তবে এটি চিতার কোনো উপপ্রজাতি না। চামড়ায় মেলানিনের পরিমাণ বেশি থাকলে চিতা বাঘের রং কালো হয়ে যায়। সাধারণত দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার গভীর বনভূমিতে এমন কালো চিতা দেখা যায়। ২০২০ সালে আসামের কাজীডাঙ্গা বন ও বাংলাদেশের রাঙামাটির বনে কালো চিতা দেখা যায়।

বেঙ্গল টাইগার ও চিতা ছাড়াও বড় বিড়ালজাতীয় প্রাণীর মধ্যে বাংলাদেশে মেঘলা চিতা বা গেছো বাঘ, সোনালি বিড়াল বা গোল্ডেন ক্যাট, মেছো বাঘ, জংলি বিড়াল, মার্বেল বিড়াল রয়েছে। এর মধ্যে মেঘলা চিতা মূলত গাছে থাকে। তবে এরা মাটিতে হেঁটে বেড়াতে ও পানিতে সাঁতার কাটতেও পারে। পানিতে নেমে মাছ শিকারে বিশেষ দক্ষতা আছে মেছো বিড়ালের।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার সিজার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের বিড়ালজাতীয় সব ধরনের প্রাণী বিপদে না পড়লে বা আত্মরক্ষার জন্য ছাড়া মানুষকে আক্রমণ করে না। কিন্তু মানুষ ভয়ে এদের দেখামাত্র পিটিয়ে হত্যা করছে। তিনি বলেন, ‘দেশের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে এ ধরনের হত্যায় বিচারের বিধান থাকলেও তার কোনো প্রয়োগ আমরা দেখি না।’ সামগ্রিকভাবে বনের পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি বনের আশপাশের মানুষকে চিতা বাঘ রক্ষায় সচেতন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।