দ্রব্যমূল্য এভাবে বাড়লে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে: জি এম কাদের

জি এম কাদের
ফাইল ছবি

দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এভাবে অব্যাহত থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে টিসিবির গাড়ির সামনে লম্বা লাইন দিন দিন বাড়ছে। এরই মধ্যে ভিক্ষুকের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
আজ শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে জি এম কাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হঠাৎ করে গ্যাসের দাম বাড়ার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষকে বিপাকে ফেলেছে সরকার। ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম একলাফে ১২৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩৯১ হয়েছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় গ্যাসের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।

বিবৃতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলের কথাও উল্লেখ করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, এরশাদের সময় প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ৮ থেকে ১০ টাকা। গত ৩১ বছরে প্রতি কেজি চালের দাম বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এরশাদের সময় যে সয়াবিন তেল ২০ থেকে ২৫ টাকা লিটার বিক্রি হয়েছে, এখন তা ২১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার ৭–১০ টাকা লিটার থেকে এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার পেট্রল। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যে সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ছিল ১০৪ টাকা, তার বর্তমান মূল্য ২১০ টাকা। এভাবে তিন বছরে প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, আটা ২৮ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা, মসুর ডাল ৫৫ থেকে বেড়ে ১০৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

জি এম কাদের আরও বলেন, রান্নার জন্য পাইপলাইনের গ্যাসের বর্তমান মূল্য ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম ৬৬ থেকে ৭৯ শতাংশ বাড়াতে প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে পানির দাম ২০ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো কার্যকর হলে এর প্রভাবে সব ধরনের দ্রব্য ও সেবার মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধি পাবে। এমন প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে দেশের ৯০ ভাগ মানুষের ঘরে হাহাকার পড়বে। এ অবস্থায় পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত হবে বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের।