হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ধর্ষণ–সম্পর্কিত দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা নিয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

‘পুরুষসহ অন্যান্য ধর্ষণকে’ নারী ধর্ষণের মতো অপরাধ হিসেবে যুক্ত করতে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার সংশোধন চেয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ, সমাজকর্মী সৌমেন ভৌমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ রিটটি করেন। এতে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ছেলেশিশু তথা পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অথচ এমন নির্যাতনকে ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যাচ্ছে না। কেননা, ৩৭৫ ধারায় ভুক্তভোগী হিসেবে শুধু নারীর কথা বলা আছে। তাই দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা সংশোধন করে ‘নারী ধর্ষণ’–এর অপরাধের পাশাপাশি লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে যেকোনো ব্যক্তিকে ধর্ষণের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। লিঙ্গবৈষম্য থাকার কারণে ৩৭৫ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল হয়েছে।

আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের ভাষ্য, ৩৭৫ ধারায় শুধু পুরুষ দ্বারা নারীদের ধর্ষণের বিষয় আছে। এখানে সম্মতি ছাড়া নারীদের দ্বারা নারী, নারীর দ্বারা পুরুষ, পুরুষ দ্বারা পুরুষ এবং একজন ট্রান্সজেন্ডার দ্বারা আরেক ট্রান্সজেন্ডারের যৌন নিপীড়নের বিষয়টি নেই।