সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মান্নান খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
একই সঙ্গে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদর অফিসার্স ক্লাবের মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় গত পাঁচ বছরে মান্নান খানের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন, অপমান, অপদস্থের অভিযোগ তুলে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।
যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ হারুন উর রশিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়া, ঢাকা জেলা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শওকত শাহিন, উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর কান্তি চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হান্নান উদ্দিন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সামসুল হক ও হান্নান উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় নেতারা অভিযোগ করেন, মান্নান খান তাঁর ভাই ও আত্মীয়স্বজন ছাড়া কোনো নেতা-কর্মীকে চেনেন না। তিনি তাঁদের নেতা নন। গত পাঁচ বছরে তিনি একাধিক নেতা-কর্মীকে অপমান-অপদস্থ করেছেন। গালিগালাজ করেছেন। দুর্নীতিতে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। আওয়ামী লীগে কোনো দুর্নীতিবাজকে জায়গা দেওয়া হবে না।
কলাকোপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন বলেন, মান্নান খান গত পাঁচ বছরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নবাবগঞ্জের মানুষ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁর নির্বাচন বর্জন করা হবে। নবাবগঞ্জের কোথাও তিনি প্রবেশ করলে প্রতিহত করা হবে। তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা মোশারফ হোসেনের বক্তব্য সমর্থন করে স্লোগান দেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতারাও ওই বক্তব্যকে সমর্থন করে কথা বলেন।