নাটোরে নিখোঁজের ১৪ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

মানিক মিয়া

নিখোঁজের ১৪ দিন পর আজ রোববার দুপুরে নাটোর জেলা সিএনজি মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মানিক মিয়ার (৩৯) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নাটোর শহরের রামাইগাছি এলাকার টেক্সটাইল কালভার্টের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি শহরের রামাইগাছি এলাকার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।

সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে শহরের রামাইগাছি এলাকার টেক্সটাইল কালভার্টের পাশের জঙ্গল থেকে মানিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগমও লাশ তাঁর স্বামীর বলে শনাক্ত করেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মনিরা বেগম জানান, ৬ জুন সকাল ১০টার দিকে তাঁর স্বামী রামাইগাছি এলাকার এক লোকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য বের হন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিল। এরপর থেকে তাঁকে মুঠোফোনে আর পাওয়া যায়নি। তিনি বাড়িতেও ফিরে আসেননি। ঘটনাটি জানিয়ে তিনি ৭ জুন সকালে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকে তিনি তাঁর স্বামীকে সম্ভাব্য সব জায়গার খুঁজেছেন। কিন্তু খোঁজ পাননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁর স্বামীর সন্ধান দিতে পারেনি।

মনিরা বেগম আরও বলেন, আজ সকালে তিনি স্বামীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং স্বামীকে শনাক্ত করেন। এর আগে মনিরা তাঁর ফেসবুক পেজে স্বামীর সন্ধান চেয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি জানান, তাঁর দুটি মেয়ে রয়েছে। স্বামীর সিএনজি ব্যবসার পাশাপাশি মিম গদিঘর নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে ঘটনাটি জানালেও কেউ সন্ধান দিতে পারেনি। স্বামীকে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ছোট মেয়েটা বাবার জন্য প্রতিনিয়ত কান্নাকাটি করছে বলেও ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্যবসায়ী মানিকের নিখোঁজের জিডি নথিভুক্ত করার পর থেকে তাঁরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। মুঠোফোন সিডিআর–এর মাধ্যমে সর্বশেষ ৬ জুন চকরামপুর এলাকায় তাঁর অবস্থান জানা যায়। পরে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি প্রচুর ঋণগ্রস্ত ছিলেন। প্রতি মাসে তাঁকে ৬৮ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। লাশ দেখে মনে হচ্ছে কয়েক দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সিআইডি ক্রাইমসিন তাঁর সুরতহাল করেছে। নাটোর সদর হাসপাতালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।