নারী নির্যাতন মামলার ৮০ শতাংশই মিথ্যা: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ
আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ

আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, নারী নির্যাতন মামলার ৮০ শতাংশই মিথ্যা মামলা। অথচ এসব মিথ্যা মামলার বিচারে অনেক সময় চলে যায়। মামলা দীর্ঘ সময় ধরে চললে বিচার পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ কারণে এখন আইন সংশোধন জরুরি হয়ে পড়েছে। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনবিষয়ক বিলের খসড়ার ব্যাপারে মতামত সংগ্রহ করতে এ সেমিনারের আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব শহিদুল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জাতিসংঘের উন্নয়নবিষয়ক সংস্থার (ইউএনডিপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন ট্যামিস ও বিভিন্ন জেলা বারের আইনজীবীরা।

সেমিনারে আইনমন্ত্রী জানান, সংশোধনী বিলে ফৌজদারি মামলার তদন্তের জন্য ১৫০ দিন বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে।

কামরুল ইসলাম বলেন, যৌতুক নিয়ে যেসব মামলা হয়, তার ৯০ শতাংশই মিথ্যা। তবে আইনে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির কোনো সুযোগ না থাকায় এসব মামলা বছরের পর বছর চালাতে হয়। তিনি বলেন, ‘বিদেশে ১০০ ভাগ আসামির সাজা হয়। আর আমাদের দেশে ৮০ শতাংশ খালাস পায়। এর কারণ মিথ্যা মামলা।’

আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মামলা হওয়ার আগে গণমাধ্যমে অবাধ প্রচার বন্ধ করতে হবে। কতটুকু খবর প্রকাশ করা উচিত, তার একটা গাইডলাইন থাকা দরকার। মিথ্যা মামলা বন্ধ না হলে আইন সংশোধন করে কোনো লাভ হবে না।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কেউ যদি আদালতের কাছে অপরাধ স্বীকার করে, তাহলে তার সাজা কমিয়ে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার বিধান থাকা উচিত। নারী নির্যাতনবিষয়ক মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন করে পুরুষের দ্বিতীয় বিয়ে বন্ধ করা গেলে নারী নির্যাতনের হার কমে যাবে।