নারী বলে পুলিশে যেন কাউকে অবমূল্যায়ন করা না হয়: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পুলিশ বাহিনীতে যেন নারী বলে কাউকে অবমূল্যায়ন করা না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। নারী হিসেবে নয়, পুলিশে তাঁদের পদোন্নতি হবে দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।
রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে গতকাল বুধবার সকালে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন্স নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন৷ দুই দিনের এ সম্মেলনে ‘নারী পুলিশ: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ’, ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রবাহ ও নারী পুলিশ’, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রমের পরিধি ও চ্যালেঞ্জ’, ‘কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার সংবেদনশীলতা’ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে। সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন পর্যায়ের নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী পুলিশ সদস্যরা যেন নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৯৭৪ সালে পুলিশে মাত্র আটজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, এখন এর সংখ্যা সাত হাজার ৯০৬ জন, যা মোট পুলিশ সদস্যের ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশের নারী পুলিশ সদস্যরা শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও তাঁদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। পুলিশে নারী সদস্যের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ কে মোসতাক আহমদ বলেন, শুধু দেশে নয়, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও নারীকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও দক্ষ ও সাহসী ভূমিকা রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, কর্মক্ষেত্রে পুলিশের নারী সদস্যদের কাজের সুযোগ করে দেবেন নীতিনির্ধারকেরা। তবে নিজ নিজ দক্ষতার মধ্য দিয়ে নারীকে প্রমাণ করতে হবে, তাঁরা যোগ্য। সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান বলেন, পুলিশের যেকোনো দায়িত্বে নারীকে বসানো হলে সেখানে জনগণ অপেক্ষাকৃত ভালো সেবা পান বলে স্বীকৃত।