নারী-শিশু নির্যাতন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণ জানানোর নির্দেশ

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রতিবেদন দেওয়ার বিধান বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত; যা অসদাচরণের শামিল। এখন থেকে অবশ্যই এ আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আদেশক্রমে আজ রোববার জারি করা এক সার্কুলারে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই সার্কুলারের ভাষ্য, ২০০০ সালের ওই আইনের ৩১ (ক) ধারা অনুযায়ী কোনো মামলা ওই আইনের ২০-এর উপধারা (২)-এ উল্লিখিত ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালকে এর কারণ লিপিবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দাখিল করার এবং এর একটি অনুলিপি সরকারের কাছে পাঠানোর বিধান রয়েছে। ওই ক্ষেত্রে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে এর কারণ লিপিবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে দাখিল করার এবং এর একটি অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানোরও বিধান আছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আইনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল থেকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করে কোনো প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো হচ্ছে না। ওই বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা এর কারণ লিপিবদ্ধ করে ৩০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে এর অনুলিপি এই আদালতে পাঠাচ্ছে না। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত, আইনবহির্ভূত ও অসদাচরণের শামিল। এ অবস্থায় আইনের ৩১ (ক) ধারা আবশ্যিকভাবে পালন করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয় ওই প্রজ্ঞাপনে।
বিচারপদ্ধতি-সংক্রান্ত আইনের ২০ ধারা অনুসারে, বিচারের জন্য পাওয়ার তারিখ হতে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্য সমাপ্ত করবে। আর আইনের ৩১ (ক) ধারায় ট্রাইব্যুনাল, ইত্যাদির জবাবদিহি বিষয়ে বলা আছে। এই ধারা অনুসারে, ‘কোনো মামলা এই আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হইলে ট্রাইব্যুনাল তার কারণ লিপিবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নিকট দাখিল করিতে হইবে। যার একটি অনুলিপি সরকারের নিকটও দাখিল করতে হইবে। প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’