নালার পানি সড়কে

নালার পানি উপচে সড়কে জমেছে ময়লা পানি। তেজগাঁওয়ের উত্তর বেগুনবাড়ি সড়ক থেকে গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো
নালার পানি উপচে সড়কে জমেছে ময়লা পানি। তেজগাঁওয়ের উত্তর বেগুনবাড়ি সড়ক থেকে গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের উত্তর বেগুনবাড়ি সড়কের একাংশে নালার ময়লা পানি উপচে পড়ছে। এতে পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কারখানায় ব্যবহৃত পানি উপচে সড়কে জমে আছে। কিন্তু সমস্যার সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

দেখা যায়, উত্তর বেগুনবাড়ির এই সড়কের দুই পাশে ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। এতে ফুটপাত দিয়েও চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের।

এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন।

গতকাল শনিবার দেখা যায়, উত্তর বেগুনবাড়ির সাইন আর্ট প্রেস অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের সামনে থেকে ২৭ নম্বর দক্ষিণ কুনিপাড়া পর্যন্ত সড়কে ময়লা পানি জমে আছে। সাইন আর্ট প্রেস অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ফটকের বিপরীত পাশে নালা থেকে বের হচ্ছে পানি। তবে এই কালো পানির উৎস দেখা যায়নি। এর মধ্যেই খানাখন্দে ভরা সড়কে হেলেদুলে চলছে রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন। এদিকে সাইন আর্ট প্রেস অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের সামনে থেকে রানার ভবন পর্যন্ত সড়কের দুপাশের ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে ফুটপাত দিয়ে চলাচলের উপায় নেই। কয়েকজন পথচারীকে ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

একজন চায়ের দোকানি বলেন, গত ছয় মাস আগে তিনি ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন। দোকানের সামনে দিয়ে চলাচল করতে পথচারীদের সমস্যা হয় না বলে তিনি দাবি করেন।

উত্তর বেগুনবাড়ির বাসিন্দা আফসার উদ্দিন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে এই সড়কের নালা বন্ধ হয়ে পানি উপচে বের হচ্ছে। কিন্তু ডিএনসিসি বা ঢাকা ওয়াসা কেউ বিষয়টিতে নজর দিচ্ছে না। এতে এই এলাকার লোকজনকে ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। তিনি বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার অন্যতম বড় পথ উত্তর বেগুনবাড়ি সড়ক। কিন্তু সড়কের এই অবস্থার কারণে মানুষের চলাচলে অনেক কষ্ট হয়।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সফিউল্লাহ বলেন, এই নালার পানি হাতিরঝিলে পড়ার কথা। কিন্তু সংযোগটি বন্ধ থাকায় ওই সড়কে পানি জমেছে। হাতিরঝিল প্রকল্পের কর্মকর্তা সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। শিগগিরই সংযোগটি খুলে দেওয়া হবে। পরে সড়কটি সংস্কার ও ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।