নাসা গ্রুপের আবারও প্রতিবাদ ও বক্তব্য

৩ আগস্ট প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘জাল দলিলে জমি কেনাবেচা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের কিছু অংশ নিয়ে নাসা গ্রুপের প্রতিবাদ ৪ আগস্ট ‘প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ও বক্তব্য’ আকারে প্রকাশিত হয়। ওই দিনের প্রতিবেদকের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার আবারও প্রতিবাদ জানায় নাসা গ্রুপ। এতে বলা হয়, ভুল তথ্য ছাপিয়ে প্রতিবেদকের বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণ বোধগম্য নয়। প্রতিবেদক বলেছেন যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের পুনঃ শুনানিতে (রিভিউ) রাগীব আলীর দলিল বাতিল হয়েছে। আর জজকোর্ট ও হাইকোর্টে বাতিল হওয়ার পরই নজরুল ইসলাম মজুমদার জমি কিনেছেন।
প্রতিবেদকের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভুল। ২০১২ সালের ২১ মে রেজিস্টার্ড দলিলের মাধ্যমে রাগীব আলীর কাছ থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদার জমি কেনেন। একই বছরের ৩ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে রাগীব আলী ও আনোয়ারুল বশির খান গংদের মধ্যে সম্পাদিত দলিল বাতিল হয়। স্পষ্টতই প্রমাণিত যে নজরুল ইসলাম মজুমদার কেনার পর দলিল বাতিল হয়।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেদক এ আর এ জুটের ঋণ সমন্বয়কল্পে ১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা নজরুল ইসলাম মজুমদার কর্তৃক তাদের না জানিয়েই ব্যাংকে পরিশোধ করেছেন বলে উল্লেখ করেন, যা ঠিক নয়। এ আর এ জুটের মালিকদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতেই ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিশোধ করা হয়েছে।
সবশেষে বলা হয়েছে, প্রতিবেদকের মনোভাব বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিপন্থী এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রথম আলো পত্রিকার জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রতিবেদকের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ ও কার্যক্রম দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মজুমদারের জন্য সামাজিকভাবে মর্যাদাহানিকর। প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে অতি সত্বর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ রইল।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবাদপত্রেই বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রাগীব আলীর দলিল বাতিল হয় ২০১২ সালের অক্টোবর। তার ৪ মাস ১৮ দিন আগে রাগীব আলীর কাছ থেকে জমি কেনেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। রাগীব আলীর বিরুদ্ধে ওই মামলা শুরু হয় ২০০৪ সালে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার নিয়ম অনুযায়ী সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই মূল প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যের সব নথিপত্রই প্রথম আলোর কাছে রয়েছে।