‘নিখোঁজ’ আল আমিন ও শাকিল পুলিশের রিমান্ডে

ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল-উজ-জামান ও মিনা আল আমিন
ছবি: সংগৃহীত

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন ও শাকিল-উজ-জামান শুক্রবার দুপুর থেকে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন বলে জানিয়েছিল তাঁদের পরিবার। আজ রোববার মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুজনকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তাঁদের সঙ্গে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. খোকন ও সাইফুল ইসলামকেও পাঠানো হয়েছে রিমান্ডে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ওই চারজনকে। পুলিশের আবেদনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম আজ চারজনকে দুদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় আল আমিনসহ চারজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আকন্দ। রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় পলাতক অপর আসামিদের গ্রেপ্তার এবং মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁদের প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন

এর আগে গত শুক্রবার একই মামলায় গ্রেপ্তার ৩০ জনকে দুদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছিলেন ঢাকার সিএমএম আদালত। বর্তমানে ৩০ জন আসামি মতিঝিল থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এ ছাড়া সেদিন এ মামলায় একজন কিশোর আসামিকে কারাগারে পাঠান আদালত।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নুরুল হকের নেতৃত্বে যুব অধিকার ও ছাত্র অধিকারের নেতা–কর্মীরা মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হন। অপর দিকে ছাত্র অধিকার ও যুব অধিকার পরিষদের অন্তত ৪৫ জন আহত হন।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে মতিঝিল থানায় মামলা হয়। মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় নুরুল হকের নাম রাখা হয়নি।