দুই সেতুর উদ্বোধন

ঢাকার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সিলেট বিভাগের দুটি সেতু উদ্বোধন করেন। সেতু দুটি হলো কুশিয়ারা নদীর ওপর চন্দরপুর-সুনামপুর সেতু ও সুরমা নদীর ওপর নির্মিত আব্দুজ জহুর সেতু।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্র জানায়, ২০০০ সালে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিয়ানীবাজার উপজেলায় চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর পর সেতুর কাজ শুরুর পর আবারও ২০০৭ সালে তা বন্ধ হয়ে পড়ে। সরকারের সড়ক নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত সেতুগুলোর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্পের আওতায় এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ২৪৯ দশমিক ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩১ কোটি টাকা।
ভিডিও কনফারেন্সে সিলেটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট বিভাগের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। এই সেতুর মাধ্যমে এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় সাংসদ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জামালউদ্দীন আহমেদ, জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন, সিলেটের পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জে ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে সুরমা নদীর ওপর নির্মিত আব্দুজ জহুর সেতুও গতকাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষ থেকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব চন্দন কুমার দে সেতুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সুনামগঞ্জ সওজ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০৬ সালে। প্রথমে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৮ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। বিভিন্ন সময় অর্থাভাবে সেতুর কাজ কয়েকবার বন্ধ ছিল। ৪০২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৬ মিটার প্রস্থ এই সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার আগেই এর নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়। জাতীয় সংসদে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ সেতুর নাম প্রয়াত আব্দুজ জহুরের নামে নামকরণের দাবি জানান। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে লিখিতভাবে আবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্দুজ জহুর আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তাঁর নামেই এই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে। সুরমা নদীর ওপর এই সেতু হওয়ায় সুনামগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাবে। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে আরও ১৩টি সেতু হচ্ছে।