নিরাপত্তার অজুহাতে ট্রেন চলাচল বন্ধ

হরতাল-অবরোধের দিন দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেলপথে কোনো ট্রেন চলাচল করে না। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ এক মাস ধরে হরতাল-অবরোধের দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের অভিযোগ, এ ব্যাপারে দিনাজপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কোনো সাহায্য চায়নি।
দিনাজপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মনজুরুল হক জানান, রেলপথে দিনাজপুর থেকে পার্বতীপুরের দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। প্রতিদিন পার্বতীপুর-দিনাজপুর হয়ে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় রেলপথে ১২টি ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান; দিনাজপুর থেকে গাইবান্ধা রেলপথে দোলনচাঁপাসহ তিনটি আন্তনগর ট্রেন; পার্বতীপুর থেকে ঠাকুরগাঁওগামী কাঞ্চন এক্সপ্রেস এবং পার্বতীপুর থেকে পঞ্চগড়গামী সেভেন আপ ও উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু হরতাল-অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় এসবের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সল কবীর জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে গত শনিবার রাতে আন্তনগর একতা ট্রেনে দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা হন। গতকাল রোববার সকাল আটটায় ট্রেনটি পার্বতীপুর স্টেশনে থেমে যায়। অবরোধের কারণে ট্রেন দিনাজপুর পর্যন্ত যাবে না বলে যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এতে দুই শতাধিক যাত্রী রিকশাভ্যানে করে দিনাজপুর শহরে পৌঁছান।
দিনাজপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধে বাস বন্ধ থাকলেও ট্রেন চলে। কিন্তু দিনাজপুরে রেল কর্মকর্তারা ১৮ দলের পক্ষে ভূমিকা রাখছেন।
দিনাজপুর রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে তিনি দিনাজপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ এবং পার্বতীপুর রেলওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁদের অনুমতি না পাওয়ায় পার্বতীপুর থেকে কোনো ট্রেন দিনাজপুরে আসছে না।
পার্বতীপুরের এরিয়া অপারেটিং ম্যানেজার শাহ্ আলম তালুকদার বলেন, দিনাজপুর জিআরপি থানা থেকে দিনাজপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো নয় বলে জানানো হয়েছে। তারা পার্বতীপুর থেকে কোনো ট্রেন দিনাজপুরে না পাঠাতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে।