নিরাপত্তাহীনতায় ছাত্রলীগ নেতা দাদা রিপনের পরিবার

যশোর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রিপন হোসেন ওরফে দাদা রিপন হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহত রিপনের পরিবার। গতকাল শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানানো হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে নিহত রিপনের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, রিপন হোসেনকে ২০১০ সালের ১৪ মার্চ প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ মার্চ কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। মামলার প্রধান আসামি যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারুল ইসলামকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছেন। তিনি কারাগারে থাকলেও তাঁর সহযোগীরা নানাভাবে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছেন। এতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, শাহারুল জামিন পেলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। এ জন্য তাঁর জামিন যেন না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত দাদা রিপনের মা ফুলজান বেগম, দাদা আবদুল মালেক, ভাই সোহেল রানা, বোন সীমা বেগম, বড় চাচা রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

রিপন হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারুল ইসলামসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়।