নৌযানে কর্মবিরতি প্রত্যাহার

প্রতীকী ছবি

প্রায় ৭৪ ঘণ্টা পর সারা দেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে সরকার পক্ষের বৈঠক শেষে এ কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা জানান শ্রমিক নেতারা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বানে সোমবার মধ্যরাত থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। নৌশ্রমিকদের খাদ্য ভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি শুরুর পর সারা দেশে একযোগে নৌপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। কর্মসূচিতে বন্দরের বহির্নোঙরে ৪২ জাহাজে আটকা পড়ে ১০ লাখ টন পণ্য। এ ছাড়া সারা দেশে ৩৯টি নৌঘাটে নোঙর করে রাখা ৯২৫টি লাইটার জাহাজে আটকা পড়ে আরও ১২ লাখ টন পণ্য। সব মিলিয়ে ২২ লাখ টন পণ্য আটকা পড়েছে।
কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে শ্রমিকদের খাদ্যভাতা দেওয়ার বিষয়ে একমত হন লাইটার জাহাজের মালিকপক্ষ। এরপরই কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।

বৈঠক শেষে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে।’
বৈঠকে উপস্থিত নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মালিকপক্ষ খাদ্যভাতা প্রদানে সম্মত হয়েছেন। শ্রমিকেরাও মেনে নিয়েছেন। এরপরই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিক নেতারা।’
কর্মবিরতি প্রত্যাহার হলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হবে। সারা দেশের নৌঘাটে পণ্য খালাসের প্রস্তুতি চলছে। একইভাবে বন্দরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য স্থানান্তরে কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য স্থানান্তর কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ‘শিপ হ্যান্ডেলিং শিপ হ্যান্ডেলিং ও বার্থ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এর সভাপতি এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পণ্য স্থানান্তরের কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হবে।

আরও পড়ুন