নয় বছর পর পণ্য রপ্তানি করল ইসিএল

ফাইল ছবি

প্রায় নয় বছর পর পণ্য রপ্তানি করল বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) আওতাধীন বৈদ্যুতিক তার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন কেব্‌লস লিমিটেড (ইসিএল)। চীনে ৫ লাখ ২৪ হাজার ডলারের (৪ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার টাকা) তার রপ্তানি করেছে ইসিএল। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিএসইসি।

সূত্র জানায়, চীনের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের কাছে এই তার (৫০০ কিলোমিটার ইনসুলেটেড ওয়াপস কন্ডাক্টর) বিক্রি করেছে ইসিএল। গত ৩০ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালামাল নিয়ে জাহাজ ছেড়ে যায়। মালামাল পৌঁছে গেলে ১৯ মে সোনালী ব্যাংকে অর্থ জমা হয়। ২০১২–১৩ অর্থবছরের পর এই প্রথম বিদেশে পণ্য রপ্তানি করল ইসিএল।

এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হক ভূঞা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে ইসিএলসহ বিএসইসির আওতাধীন সব কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখা হয়েছিল। ইসিএল তার রপ্তানি করে দেশে ৫ লাখ ২৪ হাজার ডলার নিয়ে এসেছে। এটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য আশাব্যঞ্জক।

ইসিএলকে আরও লাভজনক করতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পিডিবি, বিআরইবি, ডিপিডিসি, পিজিসিবি, ডেসকো, নেসকোসহ সব প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে (ডিপিএম) তাদের উৎপাদিত বৈদ্যুতিক তার ও কন্ডাক্টর কেনার আহ্বান জানান ইসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ইস্টার্ন কেব্‌লস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গুণগত মানে দেশের সেরা কেব্‌লস। নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে শর্ট সার্কিটজনিত দুর্ঘটনা ও আগুন লাগার ঝুঁকি এড়াতে এর বিকল্প নেই।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসইসির নিয়ন্ত্রণাধীন ১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টি চালু রয়েছে। বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার পরিকল্পনা করছে তারা। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডে (বিএইচএল) বিএসইসির ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বিএইচএল জাপানি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিএসইসির অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক ও রপ্তানিমুখী করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে পুরোনো মেশিনারিজ আধুনিকীকরণ এবং চলমান প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।