স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদাতা দেশগুলোর মধ্যে জাপান যে প্রথম কাতারে ছিল, তা উল্লেখ করেন সুগা। সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই জাপানের সহায়তার কথা বলেন তিনি।
ভৌগোলিক অবস্থান এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানের ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করেছে জানিয়ে সুগা আশা প্রকাশ করেন, সামনের বছরগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের পথে বাংলাদেশের অভিযাত্রায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
স্বাধীনতার পরপর সোনারগাঁও হোটেল নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং বর্তমানে ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্প, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন, বে অব বেঙ্গল ইকোনমিক গ্রোথ বেল্ট উদ্যোগসহ নানা সহায়তার কথা আসে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।
বিপরীতে জাপানে ১০ বছর আগে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশের তরফ থেকে সহায়তার কথাও স্মরণ করেন সুগা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক তাতে আরও জোরদার হয়। ভবিষ্যতে ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার কথাও তিনি বলেন। কোভিড-১৯ মহামারি একযোগে মোকাবিলার কথাও স্থান পায় তাঁর বক্তব্যে।
বাংলায় ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি উচ্চারণ করে বক্তব্য শেষ করেন সুগা।