পল্লিচিকিৎসককে হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কোদালিয়ার পল্লিচিকিৎসক কামরুল ইসলাম ওরফে কেতু হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান গতকাল রোববার এ রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া দুজন হলেন লালনগর গ্রামের জিয়াউর রহমান ও কোদালিয়া গ্রামের কামরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় জিয়াউর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কামরুল ইসলাম পলাতক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেলে পল্লিচিকিৎসক কামরুল ইসলাম কোদালিয়া গ্রামের আজিজুল হকের বাড়িতে রোগী দেখতে যান। শত্রুতার জের ধরে সেখান থেকে তাঁকে জিয়াউর রহমান, কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন অপহরণ করেন। সন্ধ্যায় তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে ওই দিন কোদালিয়া গ্রামের মাঠে লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই শহিদুল ইসলাম ১৯ এপ্রিল আজিজুল হকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান ও কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাঁদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য আসামিদের খালাস দেন আদালত। আসামি জিয়াউর রহমানকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।