পাওনা টাকা চাওয়ায়, মামলা দিয়ে হয়রানি!

পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি। তারপর হাতাহাতি। এর জের ধরেই প্রতিপক্ষের বাবা-ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক বর্গাচাষি। শসা কাটার অভিযোগে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে প্রতিপক্ষ অভিযোগ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সাভার গ্রামে।
গতকাল শনিবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাভার গ্রামের বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী আবদুস ছালাম একই গ্রামের বর্গাচাষি মতিউর রহমানের কাছে কিছু টাকা পেতেন। গত ১ জুন ওই পাওনা টাকা চাইতে গেলে স্থানীয় হেমগঞ্জ বাজারে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর (গত ৬ জুন) মতিউর রহমান তাঁর জমির শসাগাছের চারা কাটার অভিযোগে নান্দাইল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ছালাম, তাঁর ছেলে মঞ্জুরুল হকসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। হাতাহাতির ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থিত মুদি দোকানের দোকানি মো. নজরুল মিয়া অভিযোগ করেন, দুজনের ঝগড়া থামানোয় তাঁকে ওই মামলার আসামি করা হয়েছে।
ওই মামলার অন্যতম আসামি আবদুস ছালাম দাবি করেন, পুরো ঘটনাটি সাজানো। গ্রামের একটি চক্র তাঁর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করার জন্য এ ঘটনায় ইন্ধন দিচ্ছে ও তাঁকে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মামলার বাদী মতিউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা আবদুস মন্নাছ মণ্ডল ও মা জাহানারা বেগম শসাগাছের চারা কেটে ফেলার ঘটনা সত্য বলে দাবি করলেও ঘটনাটি রাতের আঁধারে ঘটায় যারা চারা কেটেছে তাদের নাম বলতে পারেননি।
গ্রামের একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আসামিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায়ের জন্যই এ ধরনের ঘটনা সাজিয়েছে একটি মহল। এলাকার লোকজন জানান, গত শুক্রবার ওই জমি থেকে প্রায় দুই মণ শসা বিক্রি হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন গত ৬ জুন শসার চারা নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটলে এত তাড়াতাড়ি শসার ফলন হলো কীভাবে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শসার ফলনে সময় লাগে ৪০-৪৫ দিন।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন। কিছু বলার থাকলে থানার ফটকের সামনে গিয়ে কথা বলতে বলে তিনি লাইন কেটে দেন।