পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন খারিজ

মিরপুরে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা
ছবি: পিসিবি টুইটার

বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি না নিয়ে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের অভিযোগে দেশটির ক্রিকেট দলের ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।

আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, এ মামলা করার জন্য সরকারের কোনো অনুমোদন নেই। তাই মামলা নেওয়ার আবেদন খারিজ করা হলো।

আরও পড়ুন

আজ এ মামলা নেওয়ার আবেদনটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন। আদালত প্রথমে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে বাদীর আবেদন খারিজ করে দেন।

আবেদনটি করার পর বাদীপক্ষের আইনজীবী আনিস উজ জামান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রতীক। বিদেশি কোনো নাগরিকের তাঁর দেশের জাতীয় পতাকা এ দেশে প্রদর্শন করতে হলে অবশ্যই সরকারের পূর্ব অনুমোদন প্রয়োজন। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সদস্যরা ১৫ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেশটির জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করেন। কিন্তু তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের কোনো অনুমোদন নেননি। পরবর্তীকালে তাঁরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে পতাকা প্রদর্শনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সদস্যরা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, পতাকা ও প্রতীক আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তাই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদনটি আদালতে করা হয়।

অনুশীলনে পতাকা ওড়াচ্ছে পাকিস্তান
ছবি: পিসিবি টুইটার

যাঁদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছিল, তাঁরা হলেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ বাবর আজম, কোচ সাকলায়েন মুশতাক, ব্যবস্থাপক মনসুর রানা, সদস্য শাদাব খান, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, আসিফ আলী, হায়দার আলী, হ্যারিস রউফ, হাসান আলী, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহনেওয়াজ দাহানি, ওসমান কাদির, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক ও শহীদ আসলাম।

আরও পড়ুন