নয়াপল্টনে পিন্টুর জানাজা, শ্রদ্ধা খালেদার

পিন্টুর জানাজায় অংশ নেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের হাজারো নেতা-কর্মী। ছবিটি রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে তোলা। ছবি: সাজিদ হোসেন
পিন্টুর জানাজায় অংশ নেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের হাজারো নেতা-কর্মী। ছবিটি রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে তোলা। ছবি: সাজিদ হোসেন

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা নাসির উদ্দীন আহমেদ পিন্টুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দল ও এর সহযোগী সংগঠন এবং জোটের হাজারো নেতা-কর্মী অংশ নেন।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে পিন্টুর মরদেহ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হয়। এ সময় সেখানে জড়ো হতে থাকেন জামায়াতে ইসলামীসহ বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের হাজারো নেতা-কর্মী।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কার্যালয়ে পৌঁছান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পৌনে ১২টার দিকে তিনি পিন্টুর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও দোয়া পাঠ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা মওদুদ আহমেদ, আ স ম হান্নান শাহ, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।

পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পিন্টু একজন সংগ্রামী নেতা ছিলেন। সিটি নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে তাঁকে ঢাকা থেকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে তাঁর যে মৃত্যু হয়েছে, তা অস্বাভাবিক। এর তদন্ত হওয়া উচিত।

​নাসিরউদ্দিন আ​হমেদ পিন্টুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবিটি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যাল​য়ের সাম​নে থেকে তোলা। ছবি: সাজিদ হোসেন
​নাসিরউদ্দিন আ​হমেদ পিন্টুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবিটি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যাল​য়ের সাম​নে থেকে তোলা। ছবি: সাজিদ হোসেন

জানাজা শেষে পিন্টুর মরদেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ বাদ আছর লেদার টেকনোলজি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তাঁকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

গতকাল রোববার দুপুরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পিন্টুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান, পিন্টুকে তাঁরা মৃত অবস্থায় পেয়েছেন।

পিন্টুর পরিবার এ মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলছে। তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দীন পিন্টু পিলখানা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া একটি অস্ত্র লুটের দায়ে তাঁর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। বিএনপির এই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম গতকাল সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গত ২০ এপ্রিল পিন্টুকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আসার কয়েক দিন পরে তিনি অসুস্থ বোধ করলে ২৬ এপ্রিল তাঁকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এ অবস্থায় গতকাল দুপুর ১২টার কিছু আগে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কারাগারের চিকিৎসক এস এম সায়েম তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে যখন অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছিল, তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না। হাসপাতালে নেওয়ার পরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।