পিরোজপুরের সাবেক সাংসদ আউয়ালের সম্পত্তি জব্দের আদেশ বহাল

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ বহাল রয়েছে। এ আদেশের বিরুদ্ধে তাঁদের করা পৃথক দুটি আপিল সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা পৃথক দুই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ তাঁদের সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আউয়াল দম্পতি পৃথক আপিল করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে আউয়াল দম্পতির পক্ষে আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান ও ঈশিত মঞ্জুল সোহিনী শুনানিতে ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে শেখ আওসাফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‌‌আইন অনুসারে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার কথা। তবে বিলম্বে আপিল করায় তা তামাদি হওয়ায় আদালত আপিল দুটি খারিজ করে দিয়েছেন। আপিল–সংক্রান্ত নথিপত্র ফেরত দিয়েছেন আদালত। আইন অনুসারে এখন স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের ওই আদেশে আপিল চেয়ে আবেদন করা হবে।

আইনজীবীর তথ্যমতে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে আউয়ালের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। ওই দিন জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আউয়ালের স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধেও অপর মামলাটি হয়। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে আউয়াল সাংসদ নির্বাচিত হন।

মামলায় আউয়ালের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। অন্যদিকে লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।