পীরগাছায় সড়কে জলাবদ্ধতা, তিন লাখ মানুষের ভোগান্তি

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেবী চৌধুরানী বাজারে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দেবী চৌধুরানী বাজার-মীরগঞ্জ বাজার সড়কের গ্রামীণ ব্যাংকসংলগ্ন স্থানে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দুই উপজেলার তিন লাখেরও বেশি মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর এ বাজার থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়। কিন্তু এ বাজারের উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ নেয় না সরকার।
দেবী চৌধুরানী বাজারের ব্যবসায়ী নুরু মিয়া জানান, এ সড়ক দিয়ে সুন্দরগঞ্জ ও পীরগাছা উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্যান, রিকশা ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যান নছিমন ও ভটভটিতে যাতায়াত করে। কিন্তু বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে থাকায় তারা ভোগান্তি পোহায়।
ভ্যানচালক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এই কাদা-পানি দিয়ে ভ্যান টানতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। এটা সড়ক নয়, যেন নরকে পরিণত হয়েছে।’
দেবী চৌধুরানী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আরিফুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে এ সড়ক দিয়ে বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ নানা পেশার মানুষের চলাচল করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
দেবী চৌধুরানী বাজারের ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ জানান, এ হাট থেকে সরকার প্রতিবছর প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও পানি নিষ্কাশনে সুষ্ঠু ব্যবস্থাসহ হাটের কোনো উন্নয়ন করেনি।পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ইন্দিরা মোড় থেকে গ্রামীণ ব্যাংক পর্যন্ত খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই ওই স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
২৬ আগস্ট সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে এক হাঁটু পানি জমে আছে। লোকজন এর মধ্য দিয়েই অনেক কষ্টে যাতায়াত করছে। অনেক সময় এ স্থান দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়। স্থানীয় লোকজন জানান, গত এক মাসে রিকশা ও ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে ৪০-৪৫ জন আহত হয়।
কৈকুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ওই সড়কটি সংস্কারসহ জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি সংস্কার ও জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কার ও জলাবদ্ধতা দূর করা হবে।